সাকিবের কাছে হেরে গেলেন ওয়ার্নার

দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো
দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো

সিলেট স্টেডিয়ামের সীমা পরিসীমার একটা হিসাব আজ সহজেই মিলত। যদি বিপিএল একটু কষ্ট করে ছক্কা মাপার যন্ত্রটা সিলেটে নিয়ে যেত। বড় ছক্কার বর্ণনাতে সব সময় ‘গ্যালারিতে আছড়ে পড়া’র কথা বলা হয়। তবে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে আজ আন্দ্রে রাসেল যেসব ছক্কা মেরেছেন সেগুলো যে গ্যালারিও পেরিয়ে যতে বসেছিল। রাসেল ঝড়েই ৩ ওভার হাতে রেখেই সিলেটকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিল ঢাকা। ১৫৮ তাড়া করতে নেমে অনায়াসে জয় পেল ঢাকা।

মোহাম্মদ ইরফানকে দুই ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করেছেন রাসেল। তবে তাঁর অন্য দুই ছক্কাই বেশি আকর্ষণীয় ছিল। আগের ওভারেই তাসকিন আহমেদ বল করছিলেন। তৃতীয় বলটা স্লটে পেয়ে এমন বড় ছক্কা মারলেন যে তাসকিন অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে থাকলেন। বিপিএলের সবচেয়ে বড় ছক্কা কি না সে প্রশ্নের উত্তর মিলল না, কারণ সে ব্যবস্থা নেই সিলেটে। তবে দর্শক প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন সে যন্ত্র ছাড়াই। বল যে একেবারে হারিয়েই গেল! পরের বলেও আরেকটা বিশাল ছক্কা রাসেলের। এবার সান্ত্বনা পেলেন তাসকিন, ছক্কা মারলেও বল তো হারায়নি!

দুই ওভারে এমন জোড়া ছক্কাতেই ম্যাচটা এত দ্রুত শেষ হয়ে গেল। ২১ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রান এনে দিয়েছেন রাসেল। কিন্তু ম্যাচের নায়ক তিনি নন, সে সম্মানটা সাকিবের। বড় ছক্কার জোড় এমনই যে ম্যাচ শেষে হঠাৎ করেই আলোচনায় রাসেল। কিন্তু ম্যাচটা যে ঢাকা জিততে পারে সেটা পঞ্চম ওভারেও অবিশ্বাস্য ঠেকছিল। ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ঢাকা। দলকে টানার সব দায়িত্ব সাকিব বুঝে নিলেন। পালটা আক্রমণে গেলেন দারউইশ রাসুলের সঙ্গে ৭৫ রানের এক জুটিতে ম্যাচ নিয়ে সব শঙ্কা দূর করে দিলেন। সে জুটিতে আফগান কিশোরের অবদান মাত্র ১৯।

৮ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ বলে ৬১ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব। এর আগে বল হাতেও পেয়েছেন দুই উইকেট। দুটোই মহাগুরুত্বপূর্ণ। ঝোড়ো শুরু করা লিটনকে ফেরানোর পর আউট করেছেন ঝোড়ো শেষের ইঙ্গিত দেওয়া ওয়ার্নারকে। তবে ওয়ার্নারের চোখে ব্যাটসম্যান সাকিবই এগিয়ে, ‘সাকিব অসাধারণ খেলেছে। পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট পড়ার পর খুব বেশি দলকে আপনি জিততে দেখবেন না। সাকিব নিজের শক্তি অনুযায়ী খেলেছে।’