ভারতে বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারের যৌন অসদাচরণ

ভারতের বয়সভিত্তিক এক ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হয়েছে। ফাইল ছবি
ভারতের বয়সভিত্তিক এক ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হয়েছে। ফাইল ছবি

সাফল্য ও বিতর্ক হাত ধরাধরি করে হাঁটছে ভারতীয় ক্রিকেটে। অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দল যখন বিরাট কোহলির নেতৃত্বে একের পর এক ট্রফি জিতে চলেছে, ওদিকে ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসকদের ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে শুনানি ও নিষেধাজ্ঞায়। কদিন আগে অশালীন ও যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে নিষিদ্ধ হয়েছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া ও কে এল রাহুল। এবার আরও চমকে দেওয়া খবর এল। ভারতের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের এক ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হয়েছে তিন বছরের জন্য। ভারতীয় ক্রিকেটে এই প্রথম যৌন অসদাচরণের দায়ে কোনো সতীর্থের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাউকে শাস্তি দেওয়া হলো।

প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় মুম্বাইয়ের বয়সভিত্তিক ক্রিকেটের সেই খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করা হয়নি। ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, গত ২২ ডিসেম্বর সতীর্থ এক খেলোয়াড়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত করে সেই ক্রিকেটারকে ২০২২ সালের ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মুম্বাই ক্রিকেট সংস্থা (এমসিএ) এবং ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আয়োজিত কোনো টুর্নামেন্টে সে মুম্বাইকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে না।

এমসিএ বিবৃতিতে খেলোয়াড়টির অপরাধ সম্পর্কে বিস্তারিত বলেনি। বরং সেখানে রাখঢাকের একটা চেষ্টা লক্ষ করা গেছে। এমসিএ বলেছে, এই শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়টির সামগ্রিক বাজে আচরণ এবং এমসিএর সম্মানহানি করার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, খেলোয়াড়টির আচরণ ছিল কুৎসিততম, যেটি পুরো দলকে হতবাক করেছে। দলের আবহাওয়াই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই ক্রিকেটারটির আচরণ খেলার মূল চেতনার বিরোধী।

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে কোনো খেলোয়াড়কে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা তো চরমতম শাস্তি। তাহলে তার অপরাধও নিশ্চয়ই গুরুতর? ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, এমসিএর তদন্ত কমিটির কাছে সেই খেলোয়াড়, ড্রেসিং রুমে অশালীন ভাষা ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছে। তবে তার মূল অপরাধ সতীর্থকে নিজের গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করা। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি অভিযোগকারী, অভিযুক্ত ব্যক্তি, দলের কোচ, ম্যানেজার এবং বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির প্রধান নির্বাচককে শুনানিতে ডেকেছিল। ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতেই এত বড় শাস্তি।