জুনায়েদের ব্যাটে খুলনার ১৮১

দারুণ এক ইনিংস খেলেও হতাশ হতে হয়েছে জুনায়েদকে। প্রথম আলো
দারুণ এক ইনিংস খেলেও হতাশ হতে হয়েছে জুনায়েদকে। প্রথম আলো

জুনায়েদের ইনিংসটি খুদে ক্রিকেটারদের সবারই দেখা উচিত। এক ইনিংসেই যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রায় সব শিক্ষা দিয়ে দিয়েছেন এই ওপেনার। দুর্দান্ত সব শটে কুমিল্লার বোলিং লাইন আপকে তত্রস্থ রেখেছেন, দলকে এনে দিয়েছেন দারুণ এক ভিত্তি। সেই জুনায়েদই আউট হয়েছেন আলস্যের মূল্য দিয়ে। ক্রিকেট মাঠে কী করা উচিত আর উচিত নয়—এমন যুগল শিক্ষা সব সময় মেলে না। জুনায়েদের এমন ‘শিক্ষামূলক’ ইনিংসের ভিত্তি অবশ্য বৃথা যায়নি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে তাঁর দল খুলনা টাইটানস ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান তুলেছে।

নিজেদের আগের ম্যাচেই সিলেটকে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিল কুমিল্লার বোলাররা। আজ প্রথম ওভারে জহুরুল ইসলাম ফিরে যাওয়ার পর ওরকম কিছুই হবে মনে হচ্ছিল। কিন্তু জুনায়েদ ভাবলেন অন্য কিছু। আল আমিনকে নিয়ে দুর্দান্ত প্রতি আক্রমণ শুরু করলেন। মেহেদী হাসান ও থিসারা পেরারা পড়লেন তোপের মুখে। ওয়াহাব রিয়াজও বাদ পড়েননি। পাওয়ার প্লেতেই ৬৫ রানে তুলে ফেলেছেন দুজন। রানও তুলেছেন দুজন একই গতিতে। পাওয়ার প্লেতে দুজনেই করেছেন ৩০ রান। জুনায়েদের দরকার হয়েছে ১৭ বল আর আল আমিনের ১৬। অষ্টম ওভারে গিয়ে থামল এ জুটি। আফ্রিদির প্রথম বলেই কাট করতে গিয়ে বোল্ড আল আমিন। থামল ৭১ রানের জুটি।

সঙ্গীহারা হয়েও থামেননি জুনায়েদ। দারুণ স্ট্রোক প্লেতে মাত্র ৩০ বলেই পেয়েছেন ফিফটি। বিপিএলে এর আগে প্রতিটি ইনিংসেই ভালো শুরু করেও এগোতে পারছিলেন না। আজ কিন্তু ফিফটির পরও দ্রুত ছুটছিলেন। দলও ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান নিয়ে ফেলেছিল। সেটা ১৫ ওভারে ১৪৪ হওয়ার পর তো দুই শ রান খুবই স্বাভাবিক মনে হচ্ছিল। এরপরই পথ হারিয়েছে খুলনা। সাইফউদ্দীনের বলে ইয়র্কারে ঠিকভাবে শট খেলতে পারেননি মালান। তবু উইকেট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন জুনায়েদ কিন্তু আর ফিরতে পারেননি। ৪১ বলে ৪ চার ও ছক্কায় ৭০ রান তুলে রান আউট জুনায়েদ।

১৪৫ রানে জুনায়েদ ফেরার পর আর গতি পায়নি খুলনার ইনিংস। মালান (২৯), ব্রাফেট (১২) ও আরিফুলের (১৩) ইনিংসগুলো শুধু ১৮০ পার করিয়েছে।