সমাধান পেয়েছেন বিসিবি সভাপতি

জাতীয় দল থেকে দূরে থাকা জুনায়েদ আলো ছড়াচ্ছেন। কিন্তু এমন আলো ছড়ানো স্থানীয় ক্রিকেটারের খোঁজ মিলছেই না । ছবি: প্রথম আলো
জাতীয় দল থেকে দূরে থাকা জুনায়েদ আলো ছড়াচ্ছেন। কিন্তু এমন আলো ছড়ানো স্থানীয় ক্রিকেটারের খোঁজ মিলছেই না । ছবি: প্রথম আলো
>বিপিএলের মতো হঠাৎ আলো ঝলকানো মঞ্চে এসে অনেক স্থানীয় ক্রিকেটার খেই হারিয়ে ফেলেন। এ কারণেই বিপিএলের বাইরে একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের দাবি অনেক দিনের। নানা জটিলতায় তা হচ্ছিল না। বিসিবি সভাপতি জানালেন, একটা সমাধানের পথ পেয়েছেন...

স্থানীয় ক্রিকেটাররা বিশেষ করে ব্যাটসম্যানরা সেভাবে আলো ছড়াতে পারছেন না বিপিএলে। এ ধরনের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ভালো করতে হলে আরেকটি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আয়োজনের কথা অনেক দিন ধরেই হচ্ছে, যেটিতে শুধু স্থানীয় ক্রিকেটাররাই অংশ নেবেন।

বিপিএলে বিদেশি তারকারা যেহেতু খেলতে আসেন, কোটি কোটি টাকা দিয়ে যাঁদের আনা হচ্ছে, তাই কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি চায় না তাদের বসিয়ে রাখতে। আর এ সত্য এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই, বরাবরই বিদেশি খেলোয়াড়দের ওপর বেশি আস্থা ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর। বিপিএলের মতো বড় মঞ্চে ধারাবাহিক সুযোগ পাওয়া, ভীষণ চাপ নিয়ে ভালো খেলা যেহেতু কঠিন; ২০১৭ সালে বিসিবি জানিয়েছিল, শিগগির স্থানীয় খেলোয়াড়দের নিয়ে একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। কিন্তু সেটি এখনো হয়ে ওঠেনি।

কেন হয়নি, আজ সন্ধ্যায় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেটির একটা ব্যাখ্যা দিলেন নাজমুল হাসান। বিসিবি সভাপতির বক্তব্য, ‘আমাদের অনেক বিষয় মাথায় রাখতে হবে। একটা হচ্ছে জাতীয় দল। হ্যাঁ, বিপিএলের বাইরে অনেক কিছু করা সম্ভব। এখন যে লিগ বা টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা খেলবে না, ওটায় কোনো আকর্ষণই থাকে না। এটা নিয়ে কেউ আগ্রহও দেখায় না। এমন হলে আয়োজন করা তো সমস্যা। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অনেক ব্যস্ত থাকে। আমরা তাদের ছুটিই দিতে পারি না ঠিকমতো। এটা নিয়ে আমরা অনেক চিন্তিত। বুঝতে পারছি তাদের ওপর অনেক চাপ পড়ছে। তাদের একটা বিরতি দরকার, সেই বিরতি দিতে পারছি না। বিপিএল শেষ হতে না হতেই দল চলে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। তারপর আয়ারল্যান্ড আছে, বিশ্বকাপ আছে।’

তাহলে হবে না বিপিএলের বাইরে কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট? বিসিবি সভাপতি নিশ্চয়তা না দিতে পারলেও আশা অন্তত দিচ্ছেন, ‘আমরা একটা মাঝামাঝি জায়গায় আসতে পেরেছি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমরা যে ম্যাচ খেলি, তার সঙ্গে টি-টোয়েন্টিও যোগ করব। এটা একসময় ছিল। এটা হলে অবশ্যই কিছু খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে। তবে এটা এ মৌসুমেই হবে কি না, বলা মুশকিল। তবে আমাদের মাথায় যখন এসেছে, আমরা তো চেষ্টা করবই।’

ভারত, পাকিস্তানেও একাধিক টি-টোয়েন্টি লিগ আছে। ভারতের তো কিছু কিছু রাজ্যেরও আইপিএলের আদলে টি-টোয়েন্টি লিগ হয়। যেগুলোর সুফল ভারত পাচ্ছে একঝাঁক উদীয়মান ক্রিকেটারের মধ্যে। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি হয়ে মুশফিকুর রহিমও কদিন আগে সুপারিশ করেছেন, জাতীয় দলের তারকার বাইরে বাকিদের নিয়ে একটি টি-টোয়েন্টি লিগ করার। সেটি আলোর মুখ দেখবে কি না, তার উত্তর সময়ের হাতেই তোলা রইল।