আউট হয়ে 'অবাক' ডি ভিলিয়ার্স

বিপিএলে আজই অভিষেক হলো ডি ভিলিয়ার্সের। ছবি: প্রথম আলো
বিপিএলে আজই অভিষেক হলো ডি ভিলিয়ার্সের। ছবি: প্রথম আলো

এবি ডি ভিলিয়ার্সে মতো তারকাদের কাছে যেকোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেই বিপুল প্রত্যাশা থাকে, সেটিই স্বাভাবিক। এমন ক্রিকেটারদের দলে নিতে ব্যাংক হিসাবের ওপর তো আর কম চাপ যায় না! রংপুর রাইডার্স অনেক খরচ করে প্রোটিয়া তারকাকে দলে নিয়েছে। আজ সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে একটা ‘ডি ভিলিয়ার্স শো’ যদি তাদের দাবিতে থাকে, তাহলে খুব বেশি দোষ দেওয়া যায় না!

আজ সিলেটের দর্শকেরা ঠিক ‘ডি ভিলিয়ার্স শো’ যাকে বলে সেটি দেখেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা একেবারে হতাশও করেননি। ২১ বলে ৩৪ রান টি-টোয়েন্টিতে খারাপ স্কোর নয়। ২টি চার আর ২টি ছক্কায় সিলেট স্টেডিয়ামের দর্শকদের চাক্ষুষ দেখিয়েছেন নিজের দিনে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন।

ডি ভিলিয়ার্সের মতো তারকা সিলেটের বিপক্ষে আজকের পারফরম্যান্সে খুব খুশি হবেন—এটা ভাবাও বোকামি। তবে তিনি ম্যাচ শেষে ইঙ্গিত দিয়েছেন সামনের দিনগুলিতে বিপিএলে বোলারদের জন্য বাজে সময়ই আসছে, ‘আজ আমি বল খুব ভালো দেখেছি। উইকেটে বল পড়ে অবশ্য কিছুটা নিচু হয়ে আসছিল।’

তাঁর আউট নিয়ে অবশ্য অতৃপ্তি রয়ে গেছে। তাসকিন আহমেদের বলটি এক্সট্রা কাভারের দিকে ঠেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লাইন মিস করে ফেলেন। বল অবশ্য অফ স্টাম্পটা মিস করেনি। নিজের আউট নিয়ে যেন কিছুটা বিব্রত তুলনামূলক অল্প বয়সেই দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক হয়ে যাওয়া ক্রিকেটার, ‘আমি আমার আউটে বেশ অবাকই হয়েছি। ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারলে খুব ভালো হতো। আমি সব সময়ই এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচ শেষ করে আসতে চাই। আজও চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেটি হয়নি।’

নিজের অভিজ্ঞতার ব্যাপারটি সামনে এনেছেন ডি ভিলিয়ার্স। রংপুরের আগামী ম্যাচগুলোতে সে অভিজ্ঞতার প্রয়োগ রাখতে চান দক্ষিণ আফ্রিকান তারকা, ‘আমি সারা দুনিয়ার বিভিন্ন মাঠে খেলেছি। আমার যথেষ্ট অভিজ্ঞতাই আছে যেকোনো কন্ডিশনে, উইকেটে মানিয়ে নেওয়ার। তবে আজকের ম্যাচে আমার দলের জেতাটা অনেক বড় কিছু।’