অবশেষে ২০০ দেখল বিপিএল

ইয়াসিরের ভিত্তিতে দারুণ স্কোর পেয়েছে চিটাগং। ফাইল ছবি
ইয়াসিরের ভিত্তিতে দারুণ স্কোর পেয়েছে চিটাগং। ফাইল ছবি

তিন মৌসুম পর বিপিএলে ফিরেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। বহু আলোচনার জন্ম দিয়ে তাঁকে দলে টেনেছে চিটাগং ভাইকিংস। চট্টগ্রামের দলের সুবাদে বিপিএলে প্রথম দুই ম্যাচে আশরাফুলের ব্যাটিং দেখারও সুযোগ মিলেছিল। এর পর থেকেই ভাইকিংসদের ভিড়ে অনুপস্থিত আশরাফুল। তাঁর জায়গা যে নিয়ে নিয়েছেন ইয়াসির আলী। অভিজ্ঞতার বদলে তারুণ্যকে কেন পছন্দ করছে ভাইকিংস সে জবাব মিলল আজ। ইয়াসিরের দারুণ এক ইনিংসে ভিত্তি পেয়েছে চিটাগং। আর সে ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো দুই শ পার করা ইনিংস দেখল এবারের বিপিএল। খুলনা টাইটানসের আহ্বানে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে তুলেছে ২১৪ রান।

চট্টগ্রামের ইনিংসের শুরুটা রুটিন মাফিকই এগিয়েছে। ইনিংসের শুরুতে মোহাম্মদ শেহজাদ ঝড় তুলেছিলেন। সে ঝড়টা সবচেয়ে বেশি গেছে শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলামের ওপর দিয়ে। ক্যামেরন ডেলপোর্ট দলকে ১৭ রানে রেখে ফিরে গেছেন চতুর্থ ওভারে। শেহজাদের রান তখন ৩। শরিফুলের সেই ওভারে দুই চার ও এক ছক্কা মারলেন। শুভাশীষের পরের ওভারে আরেকটি চার। ষষ্ঠ ওভারে তাইজুলকে পর পর দুই ছক্কা মেরে জয় জাগানো শুরু করেছিলেন শেহজাদ। কিন্তু ওভারের শেষ বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নিলেন আফগান ওপেনার। ৫৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল ভাইকিংস।

মঞ্চে আবির্ভাব হলেন ইয়াসির। তাঁর সঙ্গী অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু জুটিতে মুশফিককেই ম্লান বানিয়ে দিলেন ইয়াসির। প্রয়োজন বুঝে স্ট্রাইক রোটেট করেছেন। আর যখন সুযোগ পেয়েছেন বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছেন, মাত্র ৩৪ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় পেয়ে গেছেন টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ফিফটি। ফিফটির পর আরেকটি চার সংগ্রহ করেই অবশ্য বিদায় নিয়েছেন ইয়াসির। ১৫তম ওভারে ১৩৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল চিটাগং। তবে অধিনায়ক মুশফিক তো তখনো উইকেটে। পরের ওভারে শরিফুলকে এক ছক্কা ও এক চার মেরে দাসুন শানাকা বোঝালেন আজ খুলনাকে দুই শ ছাড়ানো স্কোরই তাড়া করতে হবে। ১৭তম ওভারে লাসিথ মালিঙ্গার বলে তো চারের হ্যাটট্রিকই করে বসলেন মুশফিক! যার শেষটিতে ২৯তম বলে ফিফটিও হয়ে গেল মুশফিকের।

১৮তম ওভারে মুশফিক বিদায় নিয়েছেন ৫২ রানে। ইয়াসিরের মতো মুশফিকও ডেভিড ভিসের শিকার। কিন্তু চট্টগ্রামের এতে কোনো ক্ষতি হয়নি। ছক্কা দিয়ে সে ওভার শেষ করা শানাকা মালিঙ্গার পরের ওভারেই আরও দুই ছক্কা হাঁকিয়েছেন কাউ কর্নার দিয়ে। শেষ ওভারে শানাকার সঙ্গে নাজিবুল্লাহ জাদরানও মাতলেন বাউন্ডারি উৎসবে। ২৩ রানের ২০তম ওভারই চট্টগ্রামকে দিল পাহাড়সম স্কোর। ১৭ বলে ৪২ রান করেছেন শানাকা। ৫ বলে ১৬ রান জাদরানের।