প্রশংসার পাশাপাশি সমালোচনা করেও গেলেন ওয়ার্নার

অধিনায়ক হিসেবে ওয়ার্নার ভালো নম্বরই পাবেন। ছবি: প্রথম আলো
অধিনায়ক হিসেবে ওয়ার্নার ভালো নম্বরই পাবেন। ছবি: প্রথম আলো
>ওয়ার্নারের সিলেট-অধ্যায় আপাতত শেষ। তাঁকে আবার বিপিএলে দেখা যাবে কি না, নিশ্চিত নয়। কালই দেশে ফিরে যাওয়ার কথা তাঁর। যাওয়ার আগে অস্ট্রেলীয় তারকা প্রশংসা যেমন করলেন, তেমনি সমালোচনাও কিছু করলেন।

ডেভিড ওয়ার্নারের বিপিএল শুরু হয়েছিল হার দিয়ে, শেষও হলো হার দিয়ে। কালই হয়তো ফিরে যাবেন অস্ট্রেলিয়ায়। তবে সিলেটকে রেখে গেলেন নড়বড়ে অবস্থায়। ওয়ার্নারের চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চটাই করেছেন।

৭ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে ২২৩ রান করেছেন। মাঠে আর মাঠের বাইরে তাঁর অধিনায়কত্বের প্রশংসা করতেই হবে। ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা, ফিল্ডিংয়ে দুর্দান্ত তৎপরতা, বোলিং পরিবর্তন—কোনো কিছুতেই অধিনায়ক ওয়ার্নারকে পিছিয়ে রাখার উপায় নেই। কিন্তু দলকে তো এগিয়ে নিতে পারেননি। ৭ ম্যাচে ৫ হারে পয়েন্ট তালিকায় সিলেট আছে ছয়ে। শেষ চারে ওঠাটাই কঠিন হয়ে গেছে তাদের।

তারকা ঠাসা সিলেট কেন বারবার হোঁচট খাচ্ছে, আজ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেটির ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে সতীর্থদের কিছুটা সমালোচনা করলেন ওয়ার্নার, ‘কিছু পরিস্থিতি আমাদের বুঝতে হবে। একটা হচ্ছে শেষ দিকে কীভাবে বোলিং করতে হবে, এটা বুঝতে হবে। ম্যাচ খেলার সময় কিছু সচেতনতার ব্যাপারও আছে। দলের অনেক খেলোয়াড় অধিনায়কের দিকে সব সময় মনোযোগ দেয় না। তবে সন্দেহ নেই, সবাই উজাড় করে দেয়।’

ম্যাচের পরিস্থিতি, ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরন আর বোলার দক্ষতা বুঝে সারাক্ষণ ফিল্ডিং পজিশন ঠিক করতে থাকেন সিলেটের অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। অনেক সময় তাঁকে দেখা গেছে বোলার বোলিং প্রান্তে যাওয়ার পর দূরের কোনো ফিল্ডারকে ইঙ্গিত করছেন আকস্মিক পজিশন বদলাতে। ব্যাটসম্যানকে ফাঁদে ফেলার এ কাজটা তিনি অনেক সময় ঠিকঠাক করতে পারেননি সতীর্থ ফিল্ডার তাঁর দিকে যথা সময়ে না তাকানোয়। শেষ দিকে বোলারকে হয়তো তিনি এক পরামর্শ দিয়েছেন, কিন্তু বোলার করেছেন আরেকটা। আজ এমনই একটা ঘটনা দেখা গেল তাসকিনের করা ১৮তম ওভারে।

প্রথম বলেই নাহিদুল ইসলাম বাউন্ডারি মেরে দিলে ওয়ার্নার কিছু একটা পরামর্শ দিয়েছিলেন তাসকিনকে। কিন্তু এক বল পরেই দেখা গেছে ছক্কা মেরে দিয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। তাসকিনের ঠিক পরের বলেই লং অফে ওয়ার্নারের ক্যাচ হয়ে ফিরেছেন মিঠুন। কিন্তু ওয়ার্নার ক্যাচটা ধরে উচ্ছ্বসিত তো হনই–নি, উদ্‌যাপন করতেও তাসকিনের কাছে আসেননি। হয়তো কিছু একটা নিয়ে অসন্তুষ্টি ছিল সিলেট অধিনায়কের।

আর কখনো বিপিএল খেলতে আসবেন কি না, সেটি এখনই বলার উপায় নেই। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের যে ব্যস্ততা থাকে বিপিএল আয়োজনের সময়ে, তাতে ওয়ার্নারের মতো খেলোয়াড়ের আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে ওয়ার্নার খুশি বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলতে এসে। টুর্নামেন্ট নিয়ে তাঁর কণ্ঠে প্রশংসাই ঝরল, ‘দর্শকেরা অসাধারণ, বিসিবির কাছে ভীষণ কৃতজ্ঞ আমাকে এখানে খেলার সুযোগ করে দেওয়ায়। অসাধারণ পরিবেশ। আশা করি আমার দল আরও কিছু ম্যাচ জিতবে।’