খুন করতে চেয়েছিলেন 'প্রতারিত প্রেমিক' ম্যারাডোনা

ম্যারাডোনা ও সাবেক প্রেমিকা রোসিও অলিভা। ফাইল
ম্যারাডোনা ও সাবেক প্রেমিকা রোসিও অলিভা। ফাইল

দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে গত মাসে। সম্পর্কের এমনই অবনতি হয়েছিল যে ডিয়েগো ম্যারাডোনাকে নাকি বাড়ি থেকে বেরই করে দেন তাঁর বান্ধবী রোসিও অলিভা। যে বাড়িটি অলিভাকে উপহার দিয়েছিলেন ম্যারাডোনাই!

এর মধ্যে তাঁর পাকস্থলীতে রক্তক্ষরণের কারণে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে, মেক্সিকোর ক্লাব দোরাদোসে কোচের পদে আরও এক মৌসুমের জন্য চুক্তি নবায়ন করেছেন ম্যারাডোনা। এত দিন পর আর্জেন্টিনার টিভি অনুষ্ঠান লা রেডে বিচ্ছেদ নিয়ে কথা বলেছেন ম্যারাডোনা, তাতে আর্জেন্টিনার ছিয়াশি বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তির রাগই প্রকাশ পেল আরেকবার। ওই সময়টাতে নাকি তাঁর চেয়ে বয়সে ৩০ বছরের ছোট বান্ধবী অলিভার মাথাই ধড় থেকে আলাদা করে ফেলতে ইচ্ছা করছিল ম্যারাডোনার।

না, সঙ্গিনীর গায়ে হাত তোলার মতো কাপুরুষোচিত কাজ ম্যারাডোনা করেননি। শুধু ওই সময়ে তাঁর মনের ভাবটা বোঝাতেই বলেছেন, ‘আমি সঙ্গিনীর গায়ে হাত তোলার মানুষ নই, তবে ইচ্ছে হচ্ছিল ওর মাথাটা শরীর থেকে আলাদা করে ফেলি।’ এত রাগের কারণটা আর্থিক। ম্যারাডোনার টাকা নাকি ইচ্ছেমতো ওড়াতেন অলিভা। অনুষ্ঠানে ম্যারাডোনা বললেন, ‘এই যে ও ছুটিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেটাও তো আমার টাকায়!’ একসময়ে উপহার দেওয়া বাড়িটাও আবার ফিরিয়ে নেবেন ৫৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি, ‘ওর পরিবারকে যে বাড়িটা দিয়েছিলাম, সেটা আমার। আমি সেটা নিয়ে নেব। আমি ফাদার ক্রিসমাস নই যে ঘুরে ঘুরে মানুষকে জিজ্ঞেস করব কার কী লাগবে!’

এত কিছুর পর ছয় বছরের সম্পর্কটা যে এখন অতীত হয়ে গেছে, তা না বললেও চলে। ম্যারাডোনা তবু ‘আনুষ্ঠানিকভাবে’ জানিয়ে দিলেন, ‘রোসিওকে আমার জীবন থেকে পুরোপুরিই মুছে দিয়েছি। ভালোবাসাটা এখন মৃত।’