সৌম্য-মুমিনুলের ফেরার অপেক্ষায় রাজশাহী

মুমিনুল ও সৌম্যের ফর্ম নিয়ে ভাবছে না রাজশাহী। সৌজন্য ছবি
মুমিনুল ও সৌম্যের ফর্ম নিয়ে ভাবছে না রাজশাহী। সৌজন্য ছবি

একজন ৫ ম্যাচে করেছেন ৩৫ রান, আরেকজন ৭৬। ইনিংসের শুরুটা যদি এমন দুজনের হাতে থাকে তাহলে যে কোনো দলের জন্যই দুশ্চিন্তার কারণ। দারুণ বোলিং আক্রমণ থাকার পরও রাজশাহী কিংসের বিপিএলের সাফল্যের ভাগ তাই এখনো পঞ্চাশ ভাগ। সৌম্য সরকার ও মুমিনুলের এমন ফর্মের কারণে মেহেদী হাসান মিরাজকে এখন নিয়মিতই ইনিংস উদ্বোধন করতে দেখা যাচ্ছে। তার মানে কিন্তু এটা নয় দল তাদের ওপর আস্থা হারিয়েছে। রাজশাহী বিশ্বাস করে জাতীয় দলের দুই খেলোয়াড় দারুণ প্রত্যাবর্তন করবেন।

টপ অর্ডারের ব্যর্থতা রাজশাহীকে ভোগাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত স্থায়ী কোনো ওপেনিং জুটি দেখা যাচ্ছে না। সর্বশেষ ম্যাচে তো সৌম্য ও মুমিনুলকে বসিয়েই রেখেছে তারা। মিরাজের সঙ্গে ইনিংসের শুরুতে নেমেছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। তিনে নেমেছিলেন মার্শাল আইয়ুব। এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই দল জেতানো এক ইনিংস খেলেছেন মার্শাল। ৩১ বলে ৪৫ রান করা সে ইনিংসে ভর করে ঢাকাকে হারিয়ে দিয়েছে রাজশাহী। এমন অবস্থায় সৌম্য-মুমিনুলের একাদশে ফেরা কঠিন বলেই মনে হচ্ছে। মার্শাল অবশ্য আশা দেখছেন এখনো, ‘অবশ্যই ওরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে চেষ্টা করবে, আগের ম্যাচগুলোতে হয়তো হয়নি। পরের ম্যাচ গুলোতে বড় ইনিংস খেলবে। সৌম্য প্রমাণিত খেলোয়াড়। নেটে ও অনেক কষ্ট করছে। আমরা আশাবাদী ও কামব্যাক করবে, ও আর মমিনুল।’

মুমিনুল-সৌম্যের প্রত্যাবর্তন হবে কি না সেটা আলোচনার বিষয়। তবে দল হিসেবে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছে রাজশাহী। প্রথম ৫ ম্যাচে মাত্র ২ জয়ে হতাশায় ভোগা দলটি টুর্নামেন্টের ফেবারিট ঢাকা ডায়নামাইটসকে হারিয়ে দিয়েছে সিলেটে। বাড়তি আত্মবিশ্বাস তাই লুকানোর চেষ্টাও করেননি মার্শাল, ‘টুর্নামেন্টের একটা টপ টিমকে আপনি যখন হারাবেন তখন আপনার টিমের চেহারাই অন্যরকম থাকে। সেটা আমাদের ভেতরেও আছে। পরের ম্যাচ কুমিল্লার বিপক্ষে। বড় দল ঠিক আছে, কিন্তু মাঠে দেখা যাবে কী অবস্থা। অবশ্যই আমরা ফাইট করব, ওদের সঙ্গে একটা ম্যাচে হেরেছি আমরা। আমাদের লক্ষ্য থাকবে প্রতিশোধ নেওয়া।’

কুমিল্লার বিপক্ষে সাফল্য পেতে বোলিংকেই মূল অস্ত্র ভাবছে রাজশাহী, ‘আমাদের মূল শক্তি হচ্ছে মোস্তাফিজ। আমাদের ম্যাচ দেখেন, ও আমাদের জয় এনে দিচ্ছে। মোস্তাফিজ-মিরাজ, আমাদের বোলিং অ্যাটাক অবশ্য ভালো। এটা আমাদের অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট।’