সোহানের শিক্ষক ধোনি-গিলক্রিস্ট আর ইউটিউব

উইকেটকিপিং দিয়ে নজর কাড়ছেন সোহান। ফাইল ছবি
উইকেটকিপিং দিয়ে নজর কাড়ছেন সোহান। ফাইল ছবি
>এবারের বিপিএলে বড় পাওয়াগুলোর মধ্যে রাখতে হবে নুরুল হাসান সোহানের কিপিং। ৬ ম্যাচে ১০ ডিসমিসাল করে সবার ওপরে, নিকটতম উইকেটকিপারের চেয়ে ৪টি ডিসমিসাল বেশি

এবারের বিপিএলে সব দলই কম-বেশি হোঁচট খাচ্ছে। সেখানে শুরু থেকেই একই রকম দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে ঢাকা ডায়নামাইটস। বারুদে ঠাসা দলটি এরই মধ্যে একমাত্র ফেবারিট হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। বাকিদের মধ্যে আলাদা করে চমক দেখাচ্ছে চিটাগং ভাইকিংস। এই দুই দলই মুখোমুখি হচ্ছে আগামীকাল।

দুই দলই একটি করে ম্যাচ হেরেছে। ঢাকা একটি বেশি ম্যাচ খেলে ও জয় নিয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে। পয়েন্টে কাল ঢাকাকে ধরে ফেলতে পারে চিটাগং। তবে দল হিসেবে ভাইকিংসদের চেয়ে ডায়নামাইটস যে বেশি ভয়ংকর, এটা সবাই মানছেন।

ঢাকার উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান নিজেদের দাপুটে বারুদের রসায়ন লুকোলেন না। খোলাখুলিই বললেন, তাঁর দলের সাফল্যের মূলে আছে সবাই মিলে পারফর্ম করা, ‘বিপিএলে সব দলই ভালো। টি-টোয়েন্টিতে আসলে যে দিন যে দল ভালো খেলে, তারাই জেতে। আশা করব যে ছন্দে জিতে আসছি, সেটা অব্যাহত থাকবে। ভালো পারফর্ম করলে দলের ফলও ভালো হয়। আমাদের জন্য সবকিছু ভালো যাচ্ছে। যে যেখানে আছে, সেখানেই পারফর্ম করছে। দেশি বলেন বিদেশি বলেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী পারফর্ম করছে সবাই। সামনেও তা করার চেষ্টা থাকবে।’

ঢাকার মতো চিটাগংও খেলার ছন্দটা ধরে ফেলেছে বলে মনে করেন সোহান, ‘টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো টিম কম্বিনেশন ও খেলার ছন্দ ধরে রাখা। আমার মনে হয় ওদের ভালো মোমেন্টাম যাচ্ছে। মুশফিক ভাই প্রতি ম্যাচেই পারফর্ম করছেন। যেটা সবচেয়ে বড় কথা, তাঁরা দল হিসেবেই ভালো খেলছে।’

সোহান নিজে উইকেটকিপিং করছেন দারুণ। কিন্তু ব্যাট হাতে আলাদা করে আলো ছড়াতে পারেননি। আসলে সুযোগই পাচ্ছেন অনেক শেষে। আটে ব্যাটিং করতে হচ্ছে। এ নিয়ে অবশ্য নিজের কোনো আফসোস নেই বলেই দাবি করলেন, ‘দলের জন্য যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটাই বড়। আমি দেখেছি, দলের চিন্তা না করে নিজের চিন্তা করলে আমার জন্য ভালো হয় না। আমি ওই চিন্তা করিইনি। আমার ভেতরে দলের দরকারটাই সবার আগে আসে। দলের জন্য ১০ নম্বরে ব্যাট করলেও আমার কোনো অসুবিধা নেই।’

নিজের কিপিং নিয়ে অবশ্য দারুণ সন্তুষ্ট সোহান। এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচে ১০টি ডিসমিসাল করে সবার সেরা উইকেটকিপারও তিনি। বলছেন, ‘আমি সব সময় কিপিং উপভোগ করার চেষ্টা করি। হয়তো কোনো সময় ভালো হয়, কোনো সময় খারাপ হয়। সব সময় নিজের সামর্থ্যের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।’

উইকেটকিপিংয়ে সোহানের গুরু ধোনি-গিলক্রিস্ট আর ইউটিউব, ‘আমার ধোনির সঙ্গে কয়েকবার কথা হয়েছে। আমি ওনার ভিডিওগুলো দেখি। গিলক্রিস্ট যখন খেলতেন ওনারটাও অনুসরণ করতাম। আমি ইউটিউব দেখে দেখে বোঝার চেষ্টা করি, কোনটা আমার ধরনের সঙ্গে মানিয়ে যায়। আমার জন্য অনুশীলনটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ সময় এলেও অনুশীলন করে ফেরা যায়। ধারাবাহিকতা রক্ষা করে পারফর্ম করতে পারা গুরুত্বপূর্ণ, সেই চেষ্টা করি। আজ করলাম কাল আবার মিস হয়ে যেতে পারে। মিস হবেই, এটাই স্বাভাবিক। চিন্তা থাকে অতিআত্মবিশ্বাসী না হওয়া, এটা আমার জন্য খারাপ। আমি নিজেকে নিজের জায়গায় রাখি। আজ যা করতে পেরেছি কালও যেন সেটা করতে পারি, সেই চেষ্টা থাকে।’