বার্সেলোনার গোল নিয়ে বিতর্ক চলছে

আমি নির্দোষ, এটাই কি প্রমাণ করতে চাইছেন সুয়ারেজ? ছবি: এএফপি
আমি নির্দোষ, এটাই কি প্রমাণ করতে চাইছেন সুয়ারেজ? ছবি: এএফপি

মেসি ছাড়া বার্সেলোনা একেবারে অচল নয়, এটা প্রমাণ করতেই বোধ হয় গতকাল মেসিকে ছাড়া ম্যাচ শুরু করেছিলেন কোচ আরনেস্তো ভালভার্দে। সে অনুযায়ী খেলাতেও এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভরসা রাখতে পারেননি তিনি। ১-১ গোলে সমতায় মাঠে নামিয়ে দিলেন মেসিকে। আর নেমেই ত্রাণকর্তা রূপে আবির্ভূত হলেন লিও। নিজে এক গোলের পাশাপাশি সুয়ারেজকে দিয়ে করিয়েছেন এক গোল। বার্সেলোনাকে জিতিয়েছেন ৩-১ গোলের ব্যবধানে। কিন্তু বিতর্ক তৈরি হয়েছে সুয়ারেজকে দিয়ে করানো গোলকে নিয়ে।

ম্যাচের ৭০ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে শট করেন লিওনেল মেসি। কিন্তু তার দূরপাল্লার শট থামিয়ে দেন অবিশ্বাস্যভাবে থামিয়ে লেগানেসের গোলরক্ষক ইভান কুয়েলার। কিন্তু বল হাতে জমাতে পারেননি তিনি। বরং বল আবারও বাতাসে ভাসতে থাকে। তখন ফাঁকা জায়গা থেকে দৌড়ে এসে বল পায়ে লাগিয়ে দেন সুয়ারেজ। বল জালে জড়িয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় গোল উদ্‌যাপন শুরু করেন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। রিপ্লেতে দেখা যায় ভিন্ন কিছু। প্রেস করার পর বল সুয়ারেজের পা লাগার আগেই হাতে ধরে নিয়েছিলেন কুয়েলার। বল তাঁর হাতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর হাতে লাথি দেন সুয়ারেজ। যার ফলে বল ছুটে যায়, আর গোল হয়। সুয়ারেজের হাঁটু আঘাত হানে কুয়েলারের মুখে।

কুয়েলার মুখে হাত দিয়ে পড়ে যাওয়ার পর লেগানেসের খেলোয়াড়রা ঘিরে ধরেন রেফারিকে। গোলের বাঁশি ফুঁ দিলেও তখন পর্যন্ত সুযোগ ছিল ‘ভিএআর’ প্রযুক্তি ব্যবহারের। কিন্তু সে প্রযুক্তি ব্যবহার করেও রেফারি নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।

সুয়ারেজের পা বলে লাগার আগেই বলে হাত ছিল কুয়েলারের। সংগৃহীত ছবি
সুয়ারেজের পা বলে লাগার আগেই বলে হাত ছিল কুয়েলারের। সংগৃহীত ছবি

তবে লা লিগা রেফারিদের প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ‘ভিএআর’ প্রযুক্তি নিয়ে। রিয়াল মাদ্রিদ বনাম রিয়াল সোসিয়েদাদ ও অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ বনাম লেগানেস ম্যাচে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনো নানারকম কথা চলছে। এই মৌসুমে এখন ৫৯ বার ‘ভিএআর’ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে লা লিগা কর্তৃপক্ষ। অথচ আরও ১০-১২ ঘটনার ক্ষেত্রে ‘ভিএআর’ নেওয়া হলে ফলাফল ভিন্নও হতে পারত। এই ৫৯টি সিদ্ধান্তের মধ্যেও দুই একটি প্রশ্নবিদ্ধ। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড় আলভারো আরবেলোয়া অবশ্য বেশ ‘ভিএআর’ প্রযুক্তিকে ধুয়ে দিয়েছেন টুইটারে, ‘আমরা “তুমি আমার কাছ থেকে কি সিদ্ধান্ত চাও” যুগ থেকে “হ্যাঁ হোসে, ঠিক আছে” নামক যুগে প্রবেশ করেছি। কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি।’

তবে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলেও ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব পড়ত না। লিওনেল মেসি যোগ করা সময়ে আরেক গোল করে ব্যবধান বাড়িয়েছেন। তবে ম্যাচের ৭০ মিনিটে ওভাবে এগিয়ে না গেলে ম্যাচের ফল ভিন্ন হতে পারত, এমন লেগানেস তুলতেই পারে।