বাজে আম্পায়ারিংয়ে মাঠ ছাড়ল দল

ঘরোয়া ক্রিকেট মানেই যেন এখন অনিয়ম। প্রতীকী ছবি
ঘরোয়া ক্রিকেট মানেই যেন এখন অনিয়ম। প্রতীকী ছবি

প্রথম ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগের পর দ্বিতীয় বিভাগেও চলছে বিশেষ কিছু ক্লাবের পক্ষে নির্লজ্জ আম্পায়ারিং। আজিম ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিংয়ের প্রতিবাদে ম্যাচ অসম্পূর্ণ রেখেই কাল মাঠ ছেড়ে যায় ধানমন্ডি প্রগতি সংঘ। ম্যাচটি তারা আর খেলেইনি।

বিকেএসপিতে আজিম ক্রিকেট ক্লাবের ৯ উইকেটে ২০৬ রান তাড়ায় ৩০ রানে পড়ে প্রগতির চতুর্থ উইকেট, যার শেষ তিনটিই এলবিডব্লু। প্রগতির ক্রীড়া সম্পাদক রিয়াজউদ্দিন আহমেদের দাবি, কোনো এলবিডব্লুর সিদ্ধান্তই ঠিক ছিল না। আম্পায়াররা ইচ্ছা করে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘বিসিবি সভাপতি বলেছেন, আম্পায়ারিংয়ের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স দেখাবেন। অথচ তাঁর কথা তাঁর লোকেরাই শুনছে না। গুটি কয়েক লোক ক্রিকেটটাকে ধ্বংস করছে। কোমরে বল লাগলেও এলবিডব্লু! তিনটি এলবিডব্লুর কোনোটাই হয়নি। আমরা তাই মাঠ থেকে উঠে আসি।’

রিয়াজউদ্দিন জানান, ‘গত ২৭ নভেম্বর প্রথম আলোয় ঢাকা প্রথম ও তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটের পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর সিসিডিএমের এক সভায় তিনি প্রসঙ্গটি তুলে বলেন, “এর কোনোটিই মিথ্যে নয়। বিসিবি কী ব্যবস্থা নেবে?”’ বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী তখন ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো সে রকম কিছু দেখছেন না রিয়াজউদ্দিন, ‘অবস্থার কোনো উন্নতি নেই। আমরা খেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় হয়তো আমাদের শাস্তি হবে। হোক, কিন্তু মাঠ ছেড়ে এসে আমরা প্রতিবাদ তো জানালাম। তবে দুর্ভাগ্য, যেসব আম্পায়ার এসব করছেন, তাঁদের শাস্তি হয় না।’

ম্যাচ রেফারি মোহাম্মদ আজগর অবশ্য বলেছেন, দূর থেকে দেখে তাঁর মনে হয়নি আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত পক্ষপাতমূলক ছিল। তিনি উল্টো দাবি করেন, ‘সকাল থেকেই ওরা (ধানমন্ডি প্রগতি সংঘ) এ রকম করছিল। ওদের (আজিম ক্রিকেট ক্লাব) ব্যাটিংয়ের সময় অনেক আপিল করেছে। পরিকল্পনা করেই করেছে এটা।’

কোনো দল খেলতে অস্বীকৃতি জানালে শাস্তি কী, সেটি অবশ্য বলতে পারেননি ম্যাচ রেফারি, ‘এ ব্যাপারে নতুন কী আইন আছে, আমি জানি না।’ তবে সিসিডিএম ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদ ধারণা দিয়েছেন, আজিম ক্রিকেট ক্লাবকে পূর্ণ পয়েন্ট প্রদান এবং ধানমন্ডি প্রগতিকে জরিমানা করা হতে পারে।

আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে অতীতের অভিযোগগুলোর মতো এ ম্যাচের দুই আম্পায়ার শাহ আলম ও সাইদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগেরও সম্ভবত কোনো ভবিষ্যৎ নেই। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীকে বোর্ড সভাপতির ‘জিরো টলারেন্স’ আর তাঁর নিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ‘আমরা যত দূর জেনেছি পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং হয়নি।’ পরে অবশ্য তাঁর কণ্ঠে আত্মসমর্পণ, ‘রাতারাতি সবকিছু ঠিক করা সম্ভব নয়।’