'হাজার কোটি টাকা নেয়, তাদের কিছুই হয় না'

গ্রেপ্তার হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ। সংগৃহীত ছবি
গ্রেপ্তার হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ। সংগৃহীত ছবি
>একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন কায়সার হামিদ।

আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ। গতকাল রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তাঁকে এলিফ্যান্ট রোড থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আজ তাঁর একটি ভিডিও বার্তা এসেছে। 

কায়সার হামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিআইডির অতিরিক্ত উপকমিশনার শারমিন জাহান বলেছেন, কায়সার হামিদের বহু ধাপ বিপণনব্যবস্থা (এমএলএম) সম্পর্কিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। ওই প্রতিষ্ঠানের নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আর ফেরত দেননি কায়সার। তাঁর নামে বেশ কিছু মামলা ছিল।

সিআইডির বিশেষ সুপার মির্জা আবদুল্লাহেল বাকী বলেন, কায়সার হামিদের প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল ‘নিউওয়ে মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ’। প্রায় আট বছর আগে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেলেও কায়সার হামিদ লগ্নিকারীদের টাকা ফেরত দেননি। ভুক্তভোগী দুজন ২০১৪ সালে বনানী থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন। তাঁদের লগ্নি করা টাকার পরিমাণ ১০-১২ লাখ। সিআইডি মামলা দুটি তদন্ত করছে। এর আগেও সিআইডি একই ঘটনায় একটি মামলা তদন্ত করে। ওই মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আরও বেশ কয়েকটি মামলা আছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন জাতীয় দল ও মোহামেডানের সাবেক ফুটবলার। ভিডিও বার্তায় প্রথমে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন কায়সার হামিদ। পরে আবার এমন ঘটনা কেন প্রকাশ করা হচ্ছে, এর জন্য সংবাদমাধ্যমকে দোষারোপ করেছেন কায়সার হামিদ, ‘আমি নিজেও জানতাম না এই ধরনের একটি মামলা রয়েছে। যেটা ২০১৪ সালের। আপসও করে নেওয়া হয়েছিল। তারপরও একটা মামলা ছিল। আমি একটি কোম্পানিতে কাজ করতাম। সে কোম্পানিতে কাজ করা অবস্থায় কোম্পানির নামে মামলা হয়েছিল। কিন্তু কোম্পানির কাউকে খুঁজে পায় না দেখেই আমাকে অপদস্থ করা হয়েছে। আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন। আমার জন্য দোয়া করবেন।’

‘আসলে এটা কোনো বড় মামলা নয়। একজনে একটা মামলা দিয়েছে সাত লাখ টাকার। আরেকজন ২২। আমি কিছু বুঝলাম না এত অল্প কিছু টাকার জন্য মিডিয়াতে কেন ফলাও করে ছাপল। আমি এতে অবাক হয়ে যাই। এত হাজার কোটি টাকা মানুষ নেয়, তাদের কিছুই করা হয় না। কিন্তু সামান্য কিছু টাকা। আমি কোম্পানিতে কাজ করতাম পরামর্শক হিসেবে। কাজ করার সময় এই টাকাগুলো অপব্যবহার করে কোম্পানি। কিন্তু পুরোপুরি আমার ঘাড়ে এসে পড়ে।’