তরুণদের গেইল-এবির কাছে যাওয়ার পরামর্শ মাশরাফির

রংপুরের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গেইল, ডি ভিলিয়ার্সদের অধিনায়কত্ব করছেন মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো
রংপুরের নেতৃত্ব দিতে গিয়ে গেইল, ডি ভিলিয়ার্সদের অধিনায়কত্ব করছেন মাশরাফি। ছবি: প্রথম আলো

নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্রিকেটের একঝাঁক বড় তারকাদের। ক্রিস গেইল আগেই খেলেছেন, এবার যোগ হয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। রবি বোপারা, রাইলি রুশো, অ্যালেক্স হেলসও কম বড় তারকা নন। এত বড় বড় তারকার নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন? মাশরাফি জবাবটা দিলেন তাঁর মতো করেই, ‘এমন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে এমন খেলোয়াড়েরা অনেক জায়গাতেই খেলে, ওটা থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে দল। দল কেমন করছে সেটিই আসল।’

মাশরাফি বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর অধীনে গেইল কিংবা ডি ভিলিয়ার্সের মতো তারকারা থাকতে পারেন। কিন্তু এমন জ্যোতির্ময় দুই ক্রিকেটারের অধিনায়ক হয়েছেন বলে বাড়তি উচ্ছ্বাসের চেয়ে তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ গেইল-এবিদের সেরাটা বের করে আনা। মাশরাফি বলছেন, ‘ম্যাচ খেলার সময় কার সঙ্গে খেলছি, কাকে নেতৃত্ব দিচ্ছি, এসব মোটেও গুরুত্ব বহন করে না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয় পাওয়া।’

বড় বড় সব তারকাকে নেওয়ার ‘বিপদ’ও আছে। চাইলেই তো গেইলকে বসিয়ে দেওয়া যায় না। আবার গেইল নিভতে নিভতে দুই ম্যাচ জ্বলে উঠলেও র‍ংপুর যে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেতে পারে, গত বিপিএলই এর প্রমাণ। মাশরাফি বলছেন, ‘আমাদের দলের ভারসাম্যটা অন্য দলের মতো নয়। টপ অর্ডারে আমরা অনেক ঝুঁকি নিচ্ছি। টপ অর্ডার যতক্ষণ খেলবে, ততক্ষণই আমরা ম্যাচে থাকব।’

বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে বড় বড় সব তারকার খেলতে আসা নিয়ে অনেকেই উচ্ছ্বসিত হন। বলেন, এর মাধ্যমে তরুণেরা তাদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করতে পারবে, শিখতে পারবে অনেক কিছুই। অন্য কেউ হলে এমন প্রচলিত কথারই প্রতিধ্বনি শোনা যেত। কিন্তু মাশরাফি বলে কথা। মাশরাফির ভাবনা একটু অন্য রকম, ‘বড় বড় তারকারা ড্রেসিং রুমে অনেক বেশি সহজাত। কিন্তু একটা কথা বলি, কেউ যদি কোনো বড় তারকার কাছ থেকে কিছু জানতে বা শিখতে না চায়, ওরা তো আর নিজে থেকে কিছু বলবে না। আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য ওদের কাছ থেকে কিছু শেখা-জানা। এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো খেলোয়াড় আছে ড্রেসিং রুমে। কেবল আমাদের দলের খেলোয়াড়েরাই নয়; যদি অন্য দলের খেলোয়াড়েরাও কিছু শিখতে চায়, জানতে চায়, ওরা কিন্তু প্রস্তুত হয়েই আছে।’

বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা কী শিখতে চায়? মাশরাফির কথা ধরেই সম্পূরক প্রশ্নটা এল। মাশরাফির কৌশলী উত্তর, ‘এটা তো ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে। আমাদের ড্রেসিং রুমের অনেকেই কথা বলেছে। ওদের সঙ্গে আমার মনে হয় আরও বেশি সময় পার করা উচিত। যেমন ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে সাব্বির অনেক কথা বলেছে বলে শুনেছি। আমিও মাঠে দেখেছি সে সাব্বিরকে অনেক সাহায্য করছে। এটা তো বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য বিরাট সুযোগ। এসব ক্রিকেটাররা এমন তো নয় যে কেবল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সফল। এখানে অনেক খেলোয়াড় আছে যারা সারা দুনিয়াতেই ভালো খেলে। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি, টেস্ট সব সংস্করণেই।’