ছুটল অস্ট্রেলিয়ান গতি, শ্রীলঙ্কার এ কি দুর্গতি!

থিরিমান্নেকে ফেরানোর উল্লাস কামিন্সের। অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা এভাবেই দাপট দেখিয়েছেন ব্রিসবেনে। ছবি: এএফপি
থিরিমান্নেকে ফেরানোর উল্লাস কামিন্সের। অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা এভাবেই দাপট দেখিয়েছেন ব্রিসবেনে। ছবি: এএফপি
>ব্রিসবেন টেস্টে আজ প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ান বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানে অলআউট সফরকারি দল

পাল্টেছে খেলোয়াড়। পাল্টেছে প্রতিপক্ষ। তাতে পাল্টেছে অস্ট্রেলিয়ান বোলিংয়ের ধারও।

শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার আগে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। এই চার ম্যাচে সাত ইনিংসে ভারতকে মাত্র একবারই দেড় শ রানের নিচে বাঁধতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। তখন কত কথা হয়েছে দলটির বোলিং নিয়ে। জস হ্যাজেলউড, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্সরা নাকি নখদন্তহীন! শ্রীলঙ্কা দল কিন্তু এ কথা কোনোভাবেই বিশ্বাস করতে চাইবে না। ব্রিসবেনে আজ সফরকারিরা যে এই একই দলের পেস তোপে উড়ে গেছে!

বরং এভাবেও বলা ভালো, প্রতিপক্ষ পাল্টানোর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া দলের বোলিংয়ের ধারও পাল্টে গেছে। হ্যাজেলউডের জায়গায় এই টেস্টে অভিষেক ঘটেছে আরেক পেসার ঝাই রিচার্ডসনের। ২২ বছর বয়সী এই তরুণকে সঙ্গে নিয়ে স্টার্ক-কামিন্সরা স্রেফ গতির আগুনে পুড়িয়েছেন লঙ্কানদের। গ্যাবার পেসবান্ধব উইকেটে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে অলআউট হয়েছে মাত্র ১৪৪ রানে। অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়া সফরে এসে প্রথম ইনিংসেই বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে দলটি। আর তাতে প্রায় পুরো অবদানই অস্ট্রেলিয়ান পেস-অ্যাটাকের। লঙ্কানদের ৯ উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন স্টার্ক (২/৪১), কামিন্স (৪/৩৯) ও রিচার্ডসন (৩/২৬)। ১ উইকেট নিয়ে পেসারদের এই ‘কাবাবের মধ্যে হাড্ডি’ নাথান লায়ন।

প্রথম সেশনেই মোটামুটি বোঝা গিয়েছে লঙ্কান ইনিংসের গতি-প্রকৃতি। লাঞ্চে যাওয়ার আগে ৫৮ রান তুলতে নেই ৩ উইকেট। পরের সেশনে তো আরও বাজে অবস্থা। এই সেশনে ৬৯ রান তুলতে শ্রীলঙ্কার পড়েছে ৫ উইকেট। এরপর আর কত দূর-ই বা যাওয়া যায়! অস্ট্রেলিয়া অবশ্য ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই এগিয়ে গেছে। প্রথম দিনের বাকি সময় ব্যাট করে ২ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর স্কোরবোর্ডে জমা পড়েছে শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের ঠিক অর্ধেকসংখ্যক রান—৭২। উইকেটে আছেন মার্কাস হ্যারিস (৪০) ও ‘নাইটওয়াচম্যান’ নাথান লায়ন (০)।

আট বছর আগে এই গ্যাবাতেই টেস্ট উইকেটের খাতা খুলেছিলেন স্টার্ক। আজ ক্যারিয়ারের ৫০তম টেস্টে এসে ২০০ উইকেটের দেখা পেলেন এই পেসার। ১৭তম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে স্টার্ক এ মাইলফলক ছুঁলেও স্ট্রাইক রেট হিসেব করলে তিনি মিচেল জনসনের (৫১.১) পরই দ্বিতীয় (৫১.২)। শ্রীলঙ্কা কিন্তু স্টার্কের বেশ পছন্দের প্রতিপক্ষ। টেস্টে দলটির বিপক্ষে গড়ে ৩৩.৬টি ডেলিভারিতে একটি করে উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক।