শেষ ওভারে এ কোন মোস্তাফিজ!

বিপিএলে শুরুটা ভালোই হলো জ্যাসন রয়ের। ছবি: প্রথম আলো
বিপিএলে শুরুটা ভালোই হলো জ্যাসন রয়ের। ছবি: প্রথম আলো
>

বিপিএলে আজ রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮০ রান তুলেছে সিলেট সিক্সার্স

ডেভিড ওয়ার্নারের বিকল্প হিসেবে জ্যাসন রয়কে উড়িয়ে এনেছিল সিলেট সিক্সার্স। ইংলিশ ওপেনারের শুরুটা ভালোই হলো বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। তিনে নেমেই তুললেন ঝড়। ১০ম ওভারে রয় যখন ফিরলেন ওভার প্রতি ৯ করে রান রেট ছিল সিলেটের। কিন্তু শেষের ব্যাটসম্যানরা এই ভিত থেকে সিলেটের স্কোর দুই শ-তে উন্নীত করতে পারেনি। ৬ উইকেটে ১৮০ রানে থেমেছে দলটির ইনিংস। তবে সিলেটের এই বড় স্কোরে মোস্তাফিজুর রহমানের অবদানও কম নয়। ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে রান দিয়েছেন গড়ে ১০.৭৫ করে। এর মধ্যে শুধু শেষ ওভারেই দিয়েছেন ২২ রান!

শুরুতেই চমক উপহার দিয়েছে সিলেট। অধিনায়ক অলক কাপালি! অথচ আগের ম্যাচেই সিলেটের নেতৃত্বে ছিলেন সোহেল তানভীর। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা সিলেটকে আজও ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি দুই ওপেনার লিটন দাস ও সাব্বির রহমান। দ্বিতীয় ওভারে ২০ রানেই ভেঙেছে তাঁদের জুটি। জাতীয় দলে ফেরার ডাক পাওয়ার খুশিকে বড় রানে অনূদিত করতে পারছে না সাব্বির। ৩ বলে ১ রান করে শিকার হন আরাফাত সানির।

তৃতীয় ওভারে লিটনকে তুলে নেন রাজশাহী কিংসের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। দলের স্কোর তখন ২ উইকেটে ২৮। এর মধ্যে লিটনের একার রানই ১৩ বলে ২৪! ১ ছক্কা ও ৩ চারে আজও ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন লিটন। কিন্তু থামতে হয়েছে অকালেই। রয় এসে এই বিপর্যয় থেকে টেনে তুলেছেন সিলেটকে। সেকুগ্গে প্রসন্নর স্পিনে বোল্ড হওয়ার আগে ২৮ বলে করেছেন ৪২। ২ ছক্কা ও ৪ চারে সাজানো ইনিংসটি ছিল দেখার মতো।

আফিফ হোসেন ও নিকোলাস পুরান মিলে সিলেটকে টেনেছেন ১৫ ওভার পর্যন্ত। ১৯ রান করা পুরান ১৫তম ওভারে যখন ফিরলেন সিলেটের স্কোর ৪ উইকেটে ১২০। অর্থাৎ ওভার প্রতি ৮ করে রান রেট। এখান থেকে শেষ ৩০ বলে ৬০ রান তুলতে পেরেছে সিলেট। কাপালি, মোহাম্মদ নওয়াজ ও সোহেল তানভীরের মতো হার্ড হিটার ছিলেন এ সময় ব্যাটিংয়ে। ১১ রান করা নওয়াজকে ফেরান মোস্তাফিজ। পুরান আউট হওয়ার পরের ওভারে আফিফও (২৮) ফিরলে সিলেটের দুই শ রানের স্বপ্নভঙ্গ হয়। যদিও দলটির এই মৃতপ্রায় স্বপ্নই জাগিয়ে তুলেছিলেন মোস্তাফিজ!

হ্যাঁ, মোস্তাফিজই। ১৯তম ওভার শেষে সিলেটের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৫৮। শেষ ওভারটা যে মোস্তাফিজ করবেন তা এত দিনে রাজশাহী অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের নেতৃত্ব দেখে আগেই আন্দাজ করা গিয়েছে। মোস্তাফিজ যথারীতি এলেন কিন্তু তাঁকে যেন চেনা গেল না! বিপিএলে এবার শেষ ওভারে মোস্তাফিজ মানেই প্রতিপক্ষ দল ওই ৬ বলে রান তুলতে হাপিত্যেশ করবে। কিন্তু আজ মোস্তাফিজকে কীসে ভর করেছিল! শেষ ওভারে ১০ কিংবা ১৫ নয় রান দিয়েছেন ২২!

প্রথম বলটি ‘নো’ আর পরেরটি ওয়াইড। এরপর বাকি ছয় বলের মধ্যে চারের মার হজম করেছেন তিনবার। অচেনা এই মোস্তাফিজের কল্যাণেই শেষ ওভারে সংগ্রহটা বড় করতে পেরেছে সিলেট।