এই সেঞ্চুরি কিছুই নয় ডি ভিলিয়ার্সের কাছে!

দারুণ এক সেঞ্চুরিতে বিপিএল রাঙালেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ছবি: প্রথম আলো
দারুণ এক সেঞ্চুরিতে বিপিএল রাঙালেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে নিজের দল রংপুর রাইডার্সকে এবি ডি ভিলিয়ার্স জিতিয়েছেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে। দলের বিপদের মুখে অবিচল থেকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করা এই সেঞ্চুরি দারুণ আনন্দ দিয়েছে সবাইকে। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানকে কেন ক্রিকেট দুনিয়ারই অন্যতম সেরা তারকা বলা হয়, চট্টগ্রামের দর্শকেরা সেটি কাল নিজেদের চোখে দেখেছেন। টেলিভিশন সম্প্রচারের কল্যাণে গোটা দেশের মানুষ গত রাতে দারুণ উপভোগ করেছেন ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং-প্রদর্শনী।

যে সেঞ্চুরি নিয়ে এত প্রশংসা, এত আলোচনা, সেটিকে কীভাবে দেখছেন ‘এবি’ নিজে। কাল ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমনই একটা প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। প্রশ্নকর্তা সাংবাদিককে উল্টো একটা প্রশ্ন করলেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘সত্যি কথাটা বলব?’ এরপর যে উত্তরটা তাঁর কণ্ঠে শোনা গেল, সেটি শুনতে বোধ হয় খুব বেশি কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। সোজাসাপটা জানিয়ে দিলেন, ‘এই সেঞ্চুরি আমার কাছে কিছুই নয়।’

সঙ্গে সঙ্গেই কথাটার ব্যাখ্যা দিলেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘আসলে আমি খেলাটা শেষ করতে পেরেছি বিজয়ীর বেশে—এটাই আমার কাছে বেশি গুরুত্ব বহন করে। আমি দলের জন্যই খেলেছি। আপনারা আমার কথায় অবাক হতে পারেন, কিন্তু এতে আমার কিছুই এসে–যায় না। এসব নিয়ে আমি কখনোই ভাবি না। আসলে এমন উত্তর দিয়ে আপনাদের সবাইকে হতাশ করেছি। এ জন্য দুঃখিত। আমি জীবনে কখনোই এসব নিয়ে ভাবিনি।’

দলকে জিতিয়েই তৃপ্ত ডি ভিলিয়ার্স। কাল অ্যালেক্স হেলসের সঙ্গে তাঁর ১৮৪ রানের রেকর্ড জুটিটা তাঁকে আনন্দ দিয়েছে। তবে তৃপ্তির পুরোটাই দল জিতেছে বলে। রংপুর হারলে এসব নিয়ে হয়তো কথাই বলতে চাইতেন না। সেঞ্চুরিটা যে ইংলিশ ব্যাটসম্যানও পেতে পারতেন, সংবাদ সম্মেলনে সেটিই বললেন। জানালেন, মাঠে নাকি তিনি হেলসকে সেঞ্চুরিটা করার চেষ্টা করতে বলেছিলেন, ‘আমি হেলসকে বললাম, সেঞ্চুরিটা করার চেষ্টা করো। কারণ, এটা করতে পারলে তুমি পরপর দুটি সেঞ্চুরি করার কীর্তি গড়বে। কিন্তু হেলসও তখন সেঞ্চুরি নিয়ে ভাবছিল না। আমাকে বলল, তার কিছু আসে–যায় না। দল জিতলেই হলো। আমরা আসলে একেবারে মৌলিক ক্রিকেটটা খেলেছি। আমাদের লক্ষ্যটা ছিল আমরা আউট হব না। নতুন কোনো ব্যাটসম্যানকে অমন একটা সময় চাপে ফেলব না। সেটি করতে পেরেছি, আমাদের তৃপ্তি, গর্ব বলতে এটিই।’