ঘরকে পর করে দিচ্ছে চিটাগং ভাইকিংস

চট্টগ্রামে গিয়ে জিততে ভুলে গেছে ভাইকিংস। ছবি: প্রথম আলো
চট্টগ্রামে গিয়ে জিততে ভুলে গেছে ভাইকিংস। ছবি: প্রথম আলো

এমন জানলে হয়তো স্বাগতিকই হতে চাইত না চিটাগং ভাইকিংস। ঢাকা ও সিলেট পর্বে শীর্ষে ছিল দলটি। প্রথম সাত ম্যাচে মাত্র এক হার, সেটাও মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে। সবার ওপরে থেকে চট্টগ্রামে এসেছিল দলটি। ঘরের মাঠে চারটি ম্যাচে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলাটাই ছিল স্বাভাবিক। সেখানে উল্টো ছিটকে পড়ার দশা! টানা তিন ম্যাচে হেরে গেল চিটাগং ভাইকিংস। টানা তৃতীয় হারে পয়েন্ট টেবিলের তিনে চলে গেল দলটি। আর ৭ উইকেটের অনায়াস জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে চলে গেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস

মাঠ হয়তো ঘরের দল ব্যবহার করতে পারছে না, কিন্তু ঘরের ছেলে ঠিকই জ্বলে উঠলেন চিটাগংয়ের বিপক্ষে। মাত্র ১১৭ রানের লক্ষ্য। তবু পা হড়কানোর ভয় ছিল কুমিল্লার। শুরু থেকেই তাই বড় শট নয়, বরং ঠান্ডা মাথায় প্রান্ত বদল করায় মনোযোগ ছিল তামিম ইকবালের। ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে এনামুল হক বিদায় নিয়েছেন পঞ্চম ওভারেই। কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও মনে হয়নি কুমিল্লা এ ম্যাচ হারতে পারে। দ্রুত রান তোলার দায়িত্বটা শামসুর রহমানকে দিয়ে ইনিংসের নোঙর হয়ে রইলেন তামিম।

৬৫ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাই শামসুরের অবদানই বেশি। ২২ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ রান তুলে শামসুর আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ফিরে গেছেন ইমরুল কায়েস (৮)। কিন্তু জয় তখন মাত্র ১০ রান দূরে। এরই মাঝে পঞ্চাশ পেয়ে যাওয়া তামিমের ম্যাচ শেষ করে আসতে কোনো সমস্যা হয়নি। পেরেরাকে নিয়ে ১৪ বল আগেই মাঠ ছেড়েছেন তামিম। অবশ্য ইমরুল আউট হওয়ার পর বাকি ১০ রান একাই তুলে নিয়েছেন থিসারা পেরেরা। ৫১ বলে ৫৪ রান করা তামিমের ইনিংসে ছিল ৪ চার ও ২ ছক্কা।