রাজশাহীর ১৪১ চ্যালেঞ্জ জানাবে ভিলিয়ার্সদের?

রাজশাহী কিংসকে ১৪১ রানেই বেঁধে ফেলেছে রংপুর রাইডার্স। ছবি: প্রথম আলো
রাজশাহী কিংসকে ১৪১ রানেই বেঁধে ফেলেছে রংপুর রাইডার্স। ছবি: প্রথম আলো
>রংপুরের বোলাররা ছিলেন দারণ। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েও রাজশাহী ১৪১ রানের বেশি তুলতে পারেনি স্কোরবোর্ডে। লরি ইভানস, ক্রিস্টিয়ান জঙ্কার, কায়েস আহমেদ আর ফজলে মাহমুদরা মুখরক্ষা করেছেন কিংসদের।

আজ দিনটা বোধ হয় ছিল অন্যরকমই। নয়তো চট্টগ্রামের উইকেটে আজ রান নেই! দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়ে চিটাগং কিংস করল বাজে ব্যাটিং। দ্বিতীয় ম্যাচেও চিটাগংকে অনুসরণ করে প্রায় একই পরিণতি রাজশাহী কিংসের! রংপুর রাইডার্সের বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি মেহেদী হাসান মিরাজের রাজশাহী। তবে শেষ দিকে লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় লজ্জার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে তুলেছে ১৪১ রান তুলেছে রাজশাহী। 

রংপুরের সামনে ১৪২ রানের লক্ষ্য। যে দলে এবি ডি ভিলিয়ার্স, অ্যালেক্স হেলস, ক্রিস গেইল, রাইলি রুশোরা আছেন, তাদের জন্য এ আর এমনকি! তারপরেও দর্শকেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রত্যাশা করে আশায় বুক বাঁধতেই পারেন। রাজশাহীর মোস্তাফিজুর রহমান, মিরাজ, আরাফাত সানি কিংবা কামরুল ইসলাম রাব্বিরা নিশ্চয়ই দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করবেন। কঠিন পরীক্ষা নেবেন ডি ভিলিয়ার্স, হেলসদের। রংপুরের টপ অর্ডার যদি কোনো দিন ব্যর্থ হয়, তাহলে বাকিরা বিপদে পড়ে যাবেন—এমন শঙ্কা তো খোদ অধিনায়ক মাশরাফিরই।

দুই ওপেনার জনস্টন চার্লস আর সৌম্য সরকার দলের শুরুটা ভালোই করেছিলেন। ২.৩ ওভারেই স্কোরবোর্ড ১৮ রান দেখছিল রাজশাহী। কিন্তু ফরহাদ রেজার বলে তুলে মারতে গিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ক্যাচ দেন চার্লস। মিড উইকেটে দাঁড়িয়ে চার্লসের আকাশচুম্বী ক্যাচটি নিতে কোনো অসুবিধাই হয়নি অধিনায়কের। ২ বাউন্ডারিতে ১১ বলে ১২ করে ফেরেন তিনি। মুমিনুল হক ব্যর্থ আজকের ম্যাচেও। নাহিদুল ইসলামের বলে ৪ রান করে বোল্ড হন এই বাঁ হাতি। আরেক বাঁ হাতি সৌম্য কিছুক্ষণ ঝুলে থেকে ডিপ স্কয়ার লেগে রাইলি রুশোর হাতে ধরা পড়েন তিনি। আউট হওয়ার আগে তিনি ১৬ বলে ১৪ রান করেন।

লড়াইটা করছিলেন লরি ইভানস। ৩১ বলে ৩৫ রান করে শহীদুল ইসলামের বলে নাহিদুলের হাতে ধরা পড়েন। অধিনায়ক মিরাজ বোল্ড হন নাজমুল ইসলামের বলে। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিস্টিয়ান জঙ্কার, ফজলে মাহমুদ, আর আফগান অলরাউন্ডার কায়েস আহমেদের তিনটি ছোট ইনিংস দলকে মোটামুটি সম্মানজনক একটা জায়গায় এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। জঙ্কার ১১ বলে করেন ১৬। তিনি ফিরেছেন নাজমুলের বলে অতিরিক্ত ফিল্ডার মেহেদী মারুফের হাতে ক্যাচ দিয়ে। জঙ্কার আউট হওয়ার পর ফজলে মাহমুদ আর কায়েস আহমেদ নিজেদের মধ্যে ৪০ রানের একটি জুটি গড়ে ওঠে। এই জুটিটা ছিল দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। ফজলে ১৮ রান করেন ২৪ বলে। আর কায়েস ২০ বলে করেন ২২।

রংপুরের ফরহাদ রেজা আজও বল হাতে দুর্দান্ত। ৩০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। নাজমুল ২ উইকেট নিয়েছেন ৩৯ রানের খরচায়। শহীদুল ছিলেন চমৎকার। ৪ ওভার বোলিং করে ২৮ রানে তিনিও নিয়েছেন দুই উইকেট।