দুই প্রোটিয়া সহজ করে দিলেন রংপুরের জয়

এবি ডি ভিলিয়ার্স ও রাইলি রুশো দুই দক্ষিণ আফ্রিকান অতিথি খেলোয়াড়ের ব্যাটে চড়ে কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। ছবি: প্রথম আলো
এবি ডি ভিলিয়ার্স ও রাইলি রুশো দুই দক্ষিণ আফ্রিকান অতিথি খেলোয়াড়ের ব্যাটে চড়ে কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। ছবি: প্রথম আলো
>১৪২ রানের লক্ষ্যে দারুণ ব্যাটিং করলেন রাইলি রুশো। বিপিএলে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রুশোর সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। এই দুই প্রোটিয়ার ৭১ রানের জুটিই ঠিক করে দিয়েছে ম্যাচের গতিপথ

ক্রিস গেইলকে দ্রুতই ফিরিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। অ্যালেক্স হেলসও খুব বেশি কিছু করতে পারেননি। আফগান লেগ স্পিনার কায়েস আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে রাজশাহীর আশা জাগিয়েছিলেন। কিন্তু রংপুর রাইডার্স ম্যাচটা জিতেছে বেশ সহজেই। কারণ, এই দলটায় গেইল, হেলস ব্যর্থ হলেও আছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও রাইলি রুশো। দুই দক্ষিণ আফ্রিকান অতিথি খেলোয়াড়ের ব্যাটে চড়ে কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ৮ বল হাতে রেখে। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে বিপিএলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ উঠে এল রংপুর।

১৪২ রানের লক্ষ্যমাত্রা রংপুরের জন্য কঠিন কিছু হওয়ার কথা ছিল না। হয়-ও নি। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে ব্যর্থ রুশো সেটি আজ পুষিয়ে দিয়েছেন। এবারের টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান এই বাঁ হাতি প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানেরই। বাকিরা তাঁর ধারেকাছেও নেই। আজ রাজশাহীর বিপক্ষে রুশো শেষ পর্যন্ত আউট হন ৪৩ বলে ৫৫ রান করে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গে তাঁর ৭১ রানের জুটিই রাজশাহীকে ছিটকে ফেলে ম্যাচ থেকে।

ডি ভিলিয়ার্সও কম যাননি। কাল ঢাকার বিপক্ষে ইনিংসটা যেখানে শেষ করেছিলেন, আজ শুরু করেছিলেন ঠিক সেখান থেকেই ধীরস্থির ঠান্ডা মাথায়। রুশোর সঙ্গে তাঁর ব্যাটিংয়ের কোনো মিল নেই। কিন্তু একপর্যায়ে তাঁর বাউন্ডারির চেয়ে ছক্কার সংখ্যাই ছিল বেশি। পরে অবশ্য সেটি ধরে রাখতে পারেননি। আরাফাত সানির বলে কভারে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত এক ডাইভিং ক্যাচের শিকার হন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেছিলেন ২৭ বলে ৩৭।

রংপুরের চার বিদেশি তারকাই তাদের টপ অর্ডার। কোনো কারণে এরা ব্যর্থ হলে সেটি সামাল দেওয়ার জন্য যারা আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম মিঠুন। এরপর নাহিদুল ইসলাম, অধিনায়ক মাশরাফি নিজে আর ফরহাদ রেজা। আজ ডি ভিলিয়ার্স যখন ফেরেন, তখনও জয়ের জন্য ১৫ রান প্রয়োজন ছিল রংপুরের। সে হিসেবে তেমন চাপ মিঠুন-নাহিদুলদের ওপর ছিল না। তবে আজ মিঠুনের চেয়ে নাহিদুলই দ্রুত শেষ করেছেন ম্যাচটা। ২টি বাউন্ডারিতে ৭ বলে ১১ করে অপরাজিত ছিলেন তিনি। মিঠুন অপরাজিত ছিলেন ৬ বলে ৪ রান করে।

রাজশাহীর আফসোস হতেই পারে। আর ২০-৩০ রান বেশি হলেই খেলাটা আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে পারে। সে আফসোস নিয়েই পরের ম্যাচে পাখির চোখ করবে তারা। সিলেট সিক্সার্সের সঙ্গে তাদের আগামীকালকের ম্যাচটি অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচটা হারলে টুর্নামেন্টের শেষ চারে ওঠা নিয়ে বড় সংশয়ে পড়ে যাবে রাজশাহী।