ফেসবুকের পোস্ট থেকে ঝগড়া, তারপর এত কিছু!

তানিয়া পেরেরা, মালিঙ্গা ও থিসারা পেরেরা। ফাইল ছবি
তানিয়া পেরেরা, মালিঙ্গা ও থিসারা পেরেরা। ফাইল ছবি
>শুরুটা হয়েছিল ফেসবুকের এক পোস্ট থেকে। তা নিয়ে শ্রীলঙ্কা দলের অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা ও বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গার স্ত্রী তানিয়া পেরেরার ঝগড়া শুরু হয়। সেটি এখন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি) পর্যন্ত গড়িয়েছে

ফেসবুক ব্যাপারটি কখনো কখনো ঝগড়ার মাধ্যমও হয়ে দাঁড়ায়। আরও একবার তিতে সত্যটা বোঝা গেল থিসারা পেরেরা ও লাসিথ মালিঙ্গার স্ত্রীর সৌজন্যে। সামাজিক মাধ্যমে দুজনের বাহাস শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট বোর্ড পর্যন্ত গড়িয়েছে। শ্রীলঙ্কার বর্তমান ওয়ানডে অধিনায়ক মালিঙ্গার স্ত্রী তানিয়া পেরেরা পুরো জাতীয় দলকে দেশবাসীর কাছে হাসির খোরাক বানিয়েছেন—এ অভিযোগ করে অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা চিঠি দিয়েছেন এসএলসিকে। আগামী বিশ্বকাপের আগে এ ধরনের পরিস্থিতি দলের জন্য শুভকর নয় বলেও মন্তব্য করেছেন পেরেরা।

ঝামেলার শুরু হয় এ মাসের প্রথম দিকে। তানিয়া ফেসবুকে এমন একটি পোস্ট লেখেন, যেখানে ইঙ্গিত করা হয় পেরেরা জাতীয় দলে জায়গা পাকা করার জন্য নতুন ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। পেরেরা তখন পাল্টা জবাবে ২০১৮ সালে নিজের দারুণ ফর্ম তুলে ধরেন। এর সপ্তাহ দুয়েক পরে তাঁকে উদ্দেশ করে আরেকটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে দাবি করে সরাসরি এসএলসির প্রধান নির্বাহী অ্যাশলি ডি সিলভার কাছে চিঠি লেখেন পেরেরা।

সেই চিঠিতে পেরেরা লিখেছেন, ‘যখন খোদ বর্তমান অধিনায়কের স্ত্রীই সামাজিক মাধ্যমে এ ধরনের অভিযোগ করে লেখেন, তখন আমজনতার এগুলোকে সত্যি বলে ভাবা আর সেটিকে কেন্দ্র আমার নামে নানা কুৎসা রটানো থেকে বিরত রাখা তো কঠিন। এই ফেসবুক পোস্টের পর থেকে ড্রেসিংরুমেও একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সত্যি বলতে কি, দলের দুই সিনিয়র খেলোয়াড়ের মধ্যে যখন সৌহার্দ্য থাকে না, সেটি দলের তরুণদের বরং বেশি করে অস্বস্তিতে ফেলে। অন্তর্দ্বন্দ্ব থাকলে পুরো দল হয়ে খেলা কঠিন। নেতৃত্বের ভূমিকা হলো গেম প্ল্যান তৈরির ঢের আগে দলের মধ্যে একটা স্থিরতা আর একতা তৈরি করা। বলতে বাধ্য হচ্ছি, এর কোনোটাই এখন নেই।’

বিশ্বকাপের মাত্র পাঁচ মাস আসে এ ধরনের ঘটনা শ্রীলঙ্কা দলকে আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন পেরেরা, ‘বিশ্বকাপ দুয়ারে। সামাজিক মাধ্যমে অর্থহীন বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি না করে আমাদের মনোযোগ পুরোপুরি থাকা উচিত খেলায়। দলে এখন সুস্থির নেতৃত্ব, নির্দেশনা ও একতাবদ্ধ পরিবেশের ভীষণ প্রয়োজন। বিশ্বকাপের আগেই এই বিষয়টির তাই সুরাহা প্রয়োজন। দলের নেতৃত্ব ও সিনিয়র খেলোয়াড়দের অবশ্যই এর জন্য উদাহরণ তৈরি করতে হবে। কোনো একজনের ব্যক্তিগত রোষের কারণে আমরা পুরো দেশের কাছে জাতীয় দলকে হাসির খোরাক বানাতে পারি না। বিষয়টি হালকা করে দেখার সুযোগ নেই, বিশেষ করে এই সময়ে। আমি বিনয়ের সঙ্গে এসএলসিকে হস্তক্ষেপ করতে বলছি, যেন তারা উদ্যোগ নিয়ে আমাদের মধ্যকার মতবিভেদ দূর করে নতুন আত্মবিশ্বাস ও একতায় বলীয়ান হয়ে দলকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করে।’