বিয়ের কোর্টে নামছেন নাদাল

প্রেমিকা সিসকা পেরেয়োর সঙ্গে নাদাল। ছবি: টুইটার
প্রেমিকা সিসকা পেরেয়োর সঙ্গে নাদাল। ছবি: টুইটার
১৪ বছরের প্রেম পেতে যাচ্ছে শুভ পরিণতি। বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাফায়েল নাদাল


দু-এক বছর নয়, এমনকি এক দশক কিংবা এক যুগও নয়, তার চেয়েও বেশি। ১৪ বছর! রাফায়েল নাদাল আর সিসকা পেরেয়োর প্রেমের বয়স। নাদাল যখন টেনিসে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেননি, সবে ক্যারিয়ার শুরু করেছেন, তখন থেকেই পেরেয়োর সঙ্গে প্রেম। এই মন দেওয়া-নেওয়া অবশেষে পেতে যাচ্ছে শুভ পরিণতি। নাদাল চলতি বছরের শেষ দিকে পেরেয়োকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন, এমনটাই জানিয়েছে ইউরোপিয়ান সংবাদমাধ্যম। স্প্যানিশ ম্যাগাজিন ‘ওলা’ জানিয়েছে গত বছর ইতালিয়ান ওপেনে পেরেয়োকে বিয়ের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেন নাদাল।

লোকে বলে, শুভ কাজে দেরি করতে হয় না। নাদাল এ কথার ধার ধারেননি। ছোটবেলা থেকেই স্প্যানিয়ার্ডের সব মনোযোগ টেনিসে। আর সেটির ফলও পেয়েছেন। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ১৭টি গ্র্যান্ড স্লাম, ৩৩টি এক হাজার এটিপি মাস্টার্সসহ জিতেছেন আরও কত শিরোপা। এদিকে কালে কালে বয়স তো আর কম হলো না! ৩২ বছর চলছে। বছরজুড়ে ব্যস্ত থাকতে হয় নানা টুর্নামেন্ট নিয়ে। এর মধ্যে বিয়ের সময় কোথায়! টেনিস নিয়ে পড়ে থাকতে গিয়েই ব্যক্তিগত জীবনকে সময় দেওয়ার ফুসরত পাননি নাদাল। অথচ তাঁর অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরা ঠিকই শুভ কাজটি সেরেছেন অনেক আগেই।

জোকোভিচ এই শুভ কাজ সেরেছেন পাঁচ বছর আগে। নাদালের চির প্রতিদ্বন্দ্বী রজার ফেদেরার এই শুভ কাজ সেরেছেন দশ বছর আগে। এবার তাহলে নাদালের পালা? স্প্যানিশ তারকা এর আগে বিয়ে নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে বলেছেন, ‘বিয়ে করার জন্য সময় থাকবে, আমি অবসর নেওয়ার পর সেটা নিয়ে ভাবব।’

নাদালের দীর্ঘদিনের প্রেমিকা সিসকা পেরেয়ো পড়ালেখা করেছেন ব্যবসায় শিক্ষার ওপর। বর্তমানে কর্মরত আছেন নাদাল একাডেমিতে। মাঝেমধ্যেই নাদালের ম্যাচের দিন গ্যালারিতে তাঁকে দেখতে পাওয়া যায়। নাদালের ম্যাচে সব সময় কেন উপস্থিত থাকেন না, এমন প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছিলেন সেটি নাদালের ভালোর জন্যই। খেলার সময় তাঁর উপস্থিতি নাদালের ম্যাচে প্রভাব রাখতে পারে ভেবেই তিনি এই কাজ করেন।

২০১১ সালে এক সাক্ষাৎকারে পেরেয়ো বলেছিলেন, ‘ও যখন প্রতিযোগিতামূলক কোনো কিছুর সঙ্গে থাকে, তখন তাঁকে নিজের মতো করে থাকতে দেওয়ার বিষয়টি আমার মাথায় থাকে সব সময়। সে সময়ে আমাকে ওর কখন প্রয়োজন হবে বিষয়গুলো আমাকে ভাবায়। এটা যন্ত্রণাও দেয়। আর এটা বুঝতে পেরে তখন সে আমাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করা শুরু করবে। আমি যদি তাঁকে সব জায়গায় অনুসরণ করি, আমাদের একসঙ্গে থাকা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।’

দুজনের বোঝাপড়া কত চমৎকার সেটি বলাই বাহুল্য। প্রিয় মানুষের জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছেন নাদালের প্রেমিকা, ধৈর্যের অবসান হচ্ছে মধুর পরিণতিতে। নাদালেরও সৌভাগ্য এমন একজনকে পেতে যাচ্ছেন সঙ্গিনী হিসেবে। আরা নাদালের বিয়ে নিয়েও তাঁর ভক্তদেরও কৌতূহল থামতে যাচ্ছে অবশেষে!