সেধে ঢিল খেতে চাইছেন যিনি!

অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে মাঠে সমর্থকদের বিদ্রূপের জন্য প্রস্তুত কোর্তোয়া। ফাইল ছবি
অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে মাঠে সমর্থকদের বিদ্রূপের জন্য প্রস্তুত কোর্তোয়া। ফাইল ছবি

মাঠে খেলোয়াড়দের দিকে মাঝে মাঝেই ছুড়ে মারা হয় বিভিন্ন বস্তু। ভালোবেসে ছোড়া কোনো গোলাপ ফুল নয় সেগুলো, গ্যাস লাইটার, পান পাত্রের মতো ভয়ংকর সব জিনিসই ছুটে যায় মাঠে। লুইস ফিগোর দিকে শূকরের মাথা ছুড়ে দিয়েছিল বার্সেলোনার সমর্থকেরা। ঘৃণায় ভরা এমন উপহার সাধারণত কেউই পেতে চান না। তবে থিবো কোর্তোয়া এই দলে নেই। রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক চাইছেন তাঁর দিকে এভাবে বিভিন্ন বস্তু ছুড়ে মারা হোক। এতে নাকি তাঁরই লাভ।

এ মৌসুমেই রিয়ালে যোগ দিয়েছেন কোর্তোয়া। টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ী দলে আসার ইচ্ছে হতেই পারে কারও। কিন্তু তাঁর অতীত একটু ঝামেলা পাকিয়েছে। রিয়ালের নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে তিন মৌসুম খেলেছেন কোর্তোয়া। ইকার ক্যাসিয়াস ও ভিক্টর ভালদেসের মতো গোলরক্ষকদের টপকে এক মৌসুমে সেরা গোলরক্ষকও হয়েছেন। এমন অতীত নিয়েও রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে নিজের স্বপ্নপূরণের কথা জানিয়েছেন কোর্তোয়া। অ্যাটলেটিকো সমর্থকদের কাছে কোর্তোয়া নামটি তাই ইতিবাচক কোনো চিন্তা বয়ে আনে না।

কোর্তোয়াও সেটা জানেন। আগামী সপ্তাহে লিগে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে খেলবে রিয়াল। সবকিছু ঠিক থাকলে অ্যাটলেটিকোর নতুন মাঠে কোর্তোয়ারই থাকার কথা গোলবারে। সে ম্যাচে তাঁর সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হবে সেটা জানা আছে কোর্তোয়ার, ‘তারা জিনিস ছুড়ে মারবে সেটা আমি সন্দেহ করি কি না? পুরা ম্যাচে (জিনিস ছুড়ে মারবে)। বেলজিয়ামে যখন খেলতাম, তখনো এমন অভিজ্ঞতা পেয়েছি। আন্ডারলেখটের বিপক্ষে লাইটার ছুড়ে মেরেছিল, ইউপেনে বিয়ার। দুঃখজনকভাবে এটা ফুটবলের অংশ হয়ে গেছে।’

মাঠে এমন আচরণ আশা করলেও মাদ্রিদে চলাফেরায় প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছ থেকে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না কোর্তোয়াকে, ‘রাস্তায় কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিনি। শুধু একবার পেট্রল স্টেশনে এক সমর্থক একবার “হ্যালো অ্যাটলেটি” বলেছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর স্টেডিয়ামে আমার নামের ওপর থুতু দেওয়াতেই এটা (হুমকি, সমালোচনা) সীমাবদ্ধ, যেখানে লুকিয়ে থাকা সহজ। এতে যদি ওরা আনন্দ পায়, তবে তাদের জন্য ভালো। ওরা যদি আমার দিকে জিনিস ছুড়ে মারতে চায়, তবে সেটাও মেনে নেব।। এতে আমার কিছুই যায় আসে না বরং বাড়তি অনুপ্রেরণা পাব।’

কোর্তোয়ার ক্যারিয়ার গড়ায় অ্যাটলেটিকো ভূমিকা রাখলেও কোর্তোয়া ভালোবাসেন রিয়ালকে। কারণটা এত দিন ভাসাভাসাভাবে জানিয়েছেন, তবে এবার পুরোপুরি জানিয়ে দিয়েছেন মূল কারণটা, ‘আমি সব সময় ইকার ক্যাসিয়াসের ভক্ত ছিলাম, রিয়াল মাদ্রিদেরও। আমি অ্যাটলেটিকোতে খেলেছি, শুধু এ কারণে আমি এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে পারি না। ওই তিন বছরে আমি অ্যাটলেটিকোর জন্য সর্বস্ব দিয়েছি। কেউ এর প্রতিবাদ করতে পারবে না।’

রিয়ালের জার্সিতে অ্যাটলেটিকোর মাঠে কোর্তোয়ার প্রথম ডার্বির মুহূর্তটি আসবে ৯ ফেব্রুয়ারিতে।