সবার আরাম কেড়ে নিচ্ছে 'বাঘ'

আজকের ম্যাচের দুই গোলদাতা আরিফুর রহমান ও পল এমিল। সৌজন্য ছবি
আজকের ম্যাচের দুই গোলদাতা আরিফুর রহমান ও পল এমিল। সৌজন্য ছবি
>মোহামেডান স্পোর্টিং, সাইফ স্পোর্টিং ও আজ চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে তারা।

কুইজের প্রশ্ন হতে পারে, তালিকার কোনো খেলোয়াড়টিকে আপনি চিনেন?

আরামবাগের একাদশের খেলোয়াড়দের তালিকা দেওয়া হলে বড় কোন নাম হন্যে হয়ে খুঁজতে হবে। অচেনা তরুণদের নাম এক এক করে পেরিয়ে শেষের দিকে গিয়ে শুধু চোখ আটকে যাবে জাহিদ হোসেনের ওপর। এই তো! কিন্তু এমন একটি অখ্যাত তারুণ্য নির্ভর দলই মারুফুল হকের নেতৃত্বে ময়মনসিংহে সব বড় দলের আরাম কেড়ে নিচ্ছে। আজ চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ গোলে হারিয়ে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিয়েছে তারা। একটি করে গোল করেছেন আরিফুর রহমান ও পল এমিল।

হ্যাটট্রিক জয়ের হাতছানি নিয়ে আজ চট্টগ্রামের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল আরামবাগ। প্রথমার্ধে গোলশূন্য ড্রয়ের পর দ্বিতীয়ার্ধে ১৩ মিনিটের ব্যবধানে (৬১ ও ৭৪) দুই গোল। দুইটি গোলের সঙ্গেই জড়িয়ে ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার এমিলের নাম। প্রথমটি করিয়েছেন আর দ্বিতীয়টি করেছেন নিজেই। তবে দুই গোলের পেছনে আরও একজন আছেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ম্যাথেউ চিনেডু। দুইটি গোলের রসায়নটা জমেছে তাঁর পা থেকেই। বিশেষ করে এমিলের গোলের অর্ধেক চিনেডু দাবি করলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই!

৬১ মিনিটে চিনেডুর এরিয়াল থ্রু নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডানপ্রান্ত দিয়ে বক্সে তেড়েফুঁড়ে ঢুকে শট নিয়েছিলেন এমিল, পোস্টের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দূরের পোস্ট থেকে পা লাগিয়ে ১-০ করেছেন উইঙ্গার আরিফ। ১৩ মিনিট পরে ২-০ করেছেন এমিল। কিন্তু গোলের প্রেক্ষাপটটা তৈরি করে দিয়েছেন চিনেডু। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে রাইটব্যাককে ঘোল খাইয়ে বক্সের ঠিকানা লেখা ক্রস ফেলেছিলেন, দূরের পোস্টে লাফিয়ে ওঠে হেডে গোলটি করেছেন ক্যামেরুন স্ট্রাইকার। দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া আরামবাগকে আর ছুঁতে পারেনি জুলফিকার মিন্টুর শিষ্যরা।

মারুফুলের দলের প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা হয়েছিল শেখ রাসেলের বিপক্ষে ১-০ গোলে হার দিয়ে। কিন্তু এর পরে সেই যে জয়ের রথে ওঠে বসেছে তরুণেরা, সেখানে একের পর এক দলের আরাম কেড়ে নিচ্ছে তারা। ধারাবাহিকভাবে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং, সাইফ স্পোর্টিং ও আজ চট্টগ্রাম আবাহনীকে। জয়ী তিন ম্যাচে তাঁরা গোল করেছে সাতটি, হজম করেছে দুইটি। চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে তারা।