নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুর এক হয়েও পারছে না!

নোফেল স্পোর্টিংয়ের একাদশ। ফাইল ছবি
নোফেল স্পোর্টিংয়ের একাদশ। ফাইল ছবি
প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পেয়েছে নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব।


ক্লাবের পোশাকি নাম নোফেল স্পোর্টিং ক্লাব। ভেঙে বললে নোয়াখালীর জেলার ‘নো’, ফেনীর ‘ফে’ ও লক্ষ্মীপুর জেলার ‘ল’—তিন জেলার প্রথম বর্ণগুলো এক করে নোফেল। নামে যেমন চমক ও সংগতিই থাকুক না কেন, তিন জেলা এক হয়েও খেলার মাঠে পেরে উঠছে না। আজ মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে প্রিমিয়ার লিগে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ পেয়েছে তারা।

নিজেদের হোম ভেন্যু হিসেবে নোয়াখালীর শহীদ বুলু স্টেডিয়ামকে বেছে নিয়েছে নোফেল। ঘরের মাঠে হ্যাটট্রিক হার এড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই আজ মাঠে নেমেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। নিজেদের দর্শকদের সামনে উড়ে গিয়েছে কামাল বাবুর শিষ্যরা। নোফেলকে হ্যাটট্রিক হারের স্বাদ দেওয়ার পথে মুক্তিযোদ্ধার হয়ে জোড়া গোল করেছেন আইভরি কোস্টের স্ট্রাইকার বাল্লো ফামুসা। আর দুইটি গোলেই আছে জাপানি মিডফিল্ডার ইউসুকে কাতোর অবদান।

কিক অফ বাঁশির চার মিনিটেই ফামুসার গোলে এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। কাতোর ফ্রি কিক থেকে হেডে ১-০ করেছেন ফামুসা। দ্বিতীয় গোলটি হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের ১৬ মিনিটে। বাঁ প্রান্ত থেকে নেওয়া কাতোর ক্রস গোলমুখ থেকে প্লেসিং করেছিলেন সোহেল রানা, বার ঘেঁষে বলটি বের হয়ে যাওয়ার আগে পা লাগিয়ে জালে জড়িয়ে দিয়েছেন ফামুসা। এ নিয়ে লিগে পাঁচ গোল হলো দ্রগবার দেশের এই স্ট্রাইকারের। শেখ জামালের বিপক্ষে আছে একটি হ্যাটট্রিকও।

অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত তিন ম্যাচে ৬ গোল হজম করেছে নোফেল। প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে মাত্র একবার। তিন ম্যাচ শেষে তিন হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে নোফেল। আর চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে মুক্তিযোদ্ধা।