এবার নিউজিল্যান্ডে কী হবে? মুশফিক বললেন...

মুশফিক-সাকিবরা এবার নিউজিল্যান্ডে অন্য রকম কিছু এনে দিতে পারবেন? ছবি: প্রথম আলো
মুশফিক-সাকিবরা এবার নিউজিল্যান্ডে অন্য রকম কিছু এনে দিতে পারবেন? ছবি: প্রথম আলো
২০১৬-১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রতিটি সংস্করণে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার অন্তত ওয়ানডেতে কি ভিন্ন গল্প হবে? মুশফিক আশা ও চ্যালেঞ্জ—দুটির কথাই বলছেন


দুই বছর আগে নিউজিল্যান্ড সফরটা ভুলে যাওয়ার মতোই এক স্মৃতি হয়ে আছে বাংলাদেশের কাছে। তিন সংস্করণেই কিউইদের কাছে ধবলধোলাই হয়েছিলেন মাশরাফি-মুশফিকরা। শুধু হার? একের পর এক ক্রিকেটার চোটে পড়ায় সফরের শেষ দিকটা ভীষণ কঠিন হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের জন্য।

সেই চোটের মিছিলে ছিলেন মুশফিকুর রহিমও। চোটে পড়ায় টেস্ট সিরিজটা ভালোভাবে শেষও করতে পারেননি ওই সময়ের বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। দুই বছর পর আরেকটি নিউজিল্যান্ড সফর যখন সামনে, এবার কী প্রত্যাশা মুশফিকের? অন্তত ওয়ানডেতে কি বাংলাদেশ পারবে নিউজিল্যান্ডকে হারাতে?

মুশফিক আশার কথা যেমন শোনালেন, কঠিন বাস্তবতার কথাও বললেন, ‘তা তো অবশ্যই। আমরা সবশেষ যখন সেখানে গিয়েছিলাম, তখন দুটি ওয়ানডেতে খুব কাছে গিয়ে হেরে গিয়েছিলাম। এই দুটো ম্যাচে আমাদের জেতা উচিত ছিল। নেলসন আর ক্রাইস্টচার্চের ওয়ানডেতে যদি আরও একটু ভালো খেলতে পারতাম, তাহলে কী হতো কে জানে! আমার মনে হয় এ সফরটা বিশ্বকাপের আগে আমাদের জন্য খুব ভালো একটা প্রস্তুতি হবে। এখানে কিছু বড় স্কোরের ম্যাচ হতে পারে। এদিক দিয়ে এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে।’

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ড করেছিল ৭ উইকেটে ৩৪১। প্রায় ৬ গড়ে রান তুলে ৪৪.৫ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট ২৬৪ রানে। সিরিজের পরের ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ২৫১ রানে অলআউট করে দিয়েও বাংলাদেশ লক্ষ্যটা পেরোতে পারেনি, অলআউট ১৮৪ রানে।

এবারও কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে, সেটি মানছেন মুশফিক, ‘নিউজিল্যান্ড সফর অনেক কঠিন। কদিন আগে ওয়ানডে সিরিজে ওদের বিপক্ষে ভারত জিতে গেছে কিন্তু নিউজিল্যান্ডও ভালো লড়াই করেছে। আমার বিশ্বাস আছে আমাদের যে দল যাবে তারা ভালো করবে।’

ঢাকার কাছে হেরে আজ বিপিএল শেষ হয়েছে মুশফিকের চিটাগংয়ের। দুদিন বিশ্রাম না নিতেই উঠতে হবে নিউজিল্যান্ডের উড়ানে। বাংলাদেশ দল এবারও দুভাগে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ভাগটা যাবে ৬ ফেব্রুয়ারি, পরেরটি ৯ ফেব্রুয়ারি। বিপিএলের ক্লান্তি না কাটতেই লম্বা সফর। মুশফিক অবশ্য এটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন, ‘একটা সপ্তাহ যদি বিরতি পাওয়া যায়, মোটামুটি ভালো হয়। আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। ম্যাচের মধ্যে থাকলে আত্মবিশ্বাস ভালো থাকে। এর চেয়ে ভালো কোনো প্রস্তুতি হতে পারে না।’