আরেকটি বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা

লুইসের ইনিংস কোনো সুযোগ দেয়নি রংপুরকে। ছবি: প্রথম আলো
লুইসের ইনিংস কোনো সুযোগ দেয়নি রংপুরকে। ছবি: প্রথম আলো

লক্ষ্যটা সহজ ছিল না। মিরপুরের উইকেটে ১৬৬ রান খুব একটা ছোট স্কোর না। কিন্তু সেটাই কী অবলীলায় করে ফেলল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এভিন লুইসের দারুণ এক ইনিংস নিশ্চিত করল টানা শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখা রংপুর রাইডার্সকে ফাইনালে উঠতে হলে অন্তত আরও একটা পরীক্ষা পার হয়ে আসতে হবে। রংপুরকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শুক্রবারের ফাইনালে আপাতত জায়গা করে নিয়েছে কুমিল্লা।

গত মৌসুমে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দেখা হয়েছিল রংপুর ও কুমিল্লার। সেবার মহা বিতর্কিত কিছু মুহূর্ত উপহার দিয়ে ফাইনালে ওঠা রংপুর শেষ পর্যন্ত জিতেও গিয়েছিল বিপিএল। এবার দুই দলের দেখা হয়েছে প্রথম কোয়ালিফায়ারে। গতবারের হারের প্রতিশোধ তাই এক প্রকার নেওয়া হয়ে গেছে কুমিল্লার। আর এ ফল নিশ্চিত করল গতবারের দুই ফাইনালিস্ট—রংপুর ও ঢাকা ডায়নামাইটসের দেখা হচ্ছে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে।

১৬৬ রানের লক্ষ্যকে কঠিন বানাতে হলে শুরুতেই উইকেট ফেলতে হতো রংপুরের। পঞ্চম ওভারে তামিম ইকবালকে (১৭) ফিরিয়ে দিয়ে কিছুটা আশা দেখিয়েছিলেন বটে মাশরাফি। কিন্তু সে আশা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এভিন লুইস ও এনামুল হক মিলে এরপর রংপুরের বোলারদের কোনো সুযোগই দেননি। ১০.২ ওভারে এ দুজন মিলে ৯০ রান তুলে দিয়েছেন দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে এনামুলকে (৩৯) বিদায় করেছিলেন শফিউল ইসলাম। কিন্তু এতে ম্যাচের গতি বদলায়নি। রংপুরের বোলাররাই সে সুযোগ দেননি। নিয়ন্ত্রণ বোলিংয়ে কুমিল্লাকে অনায়াস জয়ের সুযোগ তারাই করে দিয়েছেন।

অধিনায়ক মাশরাফি ৪ ওভার বল করে দিয়েছেন ৪৩ রান। ফরহাদ রেজা, রবি বোপারা, বেন হাওয়েলরাও পিছিয়ে ছিলেন না রান বিলিয়ে দেওয়ার খেলাতে। প্রথম ২ ওভারে ৭ রান দেওয়া শফিউলও তৃতীয় ওভারে এসে দিয়েছেন ১৪ রান। এতেই ৭ বল আগেই ম্যাচ শেষ করে দিয়েছেন শামসুর রহমান ও লুইস। ৪১ রানের এ জুটিতে শামসুরের অবদানই ৩৪। ১৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কা ছিল তাঁর। তবে শেষ দিকে শুধু প্রান্ত বদলে খুশি থাকলেও ম্যাচটা কুমিল্লার দিকে এনে দিয়েছেন লুইস। ৫৩ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কা মেরে ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন লুইস।

ঢাকা ও রংপুরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি হবে আগামী বুধবার সন্ধ্যায়।