বেচারা শফিউল!

শফিউলের সেই ট্রেডমার্ক উদ্‌যাপন ফিরে এসেছে আবার! ছবি: প্রথম আলো
শফিউলের সেই ট্রেডমার্ক উদ্‌যাপন ফিরে এসেছে আবার! ছবি: প্রথম আলো

এবার যদি শফিউলের ভাগ্য একটু বদলায়!

বাংলাদেশের পেসার জাতীয় দলে থাকবেন কিন্তু একটি ম্যাচেও একাদশে সুযোগ পাবেন না, অনেক দিন ধরে এটাই যেন নিয়ম। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর কিংবা এর পরের জিম্বাবুয়ে সিরিজটার কথাই ধরা যাক। দুই সিরিজেই বাংলাদেশের টেস্ট দলে ছিলেন শফিউল ইসলাম। তবে দুই সিরিজেই মাঠের পাশে বসে বাংলাদেশের খেলা দেখতে হয়েছে তাঁকে।

সেই শফিউল এবার সুযোগ পেলেন নিউজিল্যান্ড সফরের বাংলাদেশের ওয়ানডে দলেও। তাসকিনের দুর্ভাগ্যে ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন শফিউল, টেস্ট দলে ইবাদত হোসেন। কাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ দুজনকে দলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিসিবি।

শফিউলের প্রোফাইল ঘেঁটে মনে হতে পারে, ২০১৬ সালের ইংল্যান্ড সিরিজের পর এই প্রথম বুঝি ওয়ানডে দলে সুযোগ পেলেন ২৯ বছর বয়সী পেসার। ৫৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি যে ওই সিরিজেই খেলেছেন শফিউল!

তবে এরপরও তিনটি সিরিজ বা টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে ছিলেন শফিউল। ২০১৭ সালের আয়ারল্যান্ড ত্রিদেশীয় সিরিজ, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত শফিউল। ওই তিন সিরিজে বাংলাদেশ ১১টি ওয়ানডে খেললেও শফিউলের খেলার সুযোগ মেলেনি একটিতেও। নিউজিল্যান্ড থেকেও কি শফিউলকে শুধু পানি টেনেই ফিরতে হবে দেশে?

অথচ ২০১০ সালের জানুয়ারিতে অভিষেকের পর বছর দুয়েক বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে অপরিহার্য সদস্য ছিলেন। ৫৬ ওয়ানডের ৪৫টিই যে ওই দুই বছরে খেলেছেন। এর মধ্যে ২০১০ সালের নিউজিল্যান্ড সিরিজ থেকে ২০১২ সালের এশিয়া কাপ পর্যন্ত খেলেছেন টানা ২৯টি ওয়ানডে।

শফিউলের দুর্ভাগ্যের সূচনাও ওই এশিয়া কাপেই। কাঁধের চোটে শুধু এশিয়া কাপ থেকেই ছিটকে যাননি, তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও হয়ে যায় লাইনচ্যুত। বারবার চোটে পড়ে আর ফর্মহীনতায় দলে জায়গা হারিয়েছেন। অথবা সুযোগ পেলেও একাদশে জায়গা করে নিতে পারেননি। ২০১২ সালের পর শফিউল ওয়ানডে খেলেছেন ১১টি, এর পাঁচটিতেই কোনো উইকেট নিতে পারেননি। এ সময়ে মাত্র দুটি সিরিজেই সব ওয়ানডেতে খেলেছেন তিনি—২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে ও ২০১৬ ইংল্যান্ড সিরিজে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত খেলে বারবারই দলে ফেরা শফিউলের ভাগ্য কি ফিরবে নিউজিল্যান্ডে?