'৩০' না করেই পাকিস্তান জিতল শেষ টি-টোয়েন্টিতে

ম্যাচ জিতলেও সিরিজ জিততে পারেনি পাকিস্তান। ছবি: এএফপি
ম্যাচ জিতলেও সিরিজ জিততে পারেনি পাকিস্তান। ছবি: এএফপি
>

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৭ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। মজার ব্যাপার হচ্ছে আগে ব্যাটিং করে পাকিস্তানের ৯ উইকেটে তোলা ১৬৮ রানের সংগ্রহে কোনো ব্যাটসম্যানেরই ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস নেই।

দুটি ম্যাচই হয়েছে সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে। ছেলেদের ম্যাচে শোয়েব মালিকদের মুখোমুখি ডেভিড মিলাররা। আর মেয়েদের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি ডানে ফন নিকার্করা। প্রোটিয়া মেয়েরা কিন্তু মিলারদের পথে হাঁটেননি। বরং অনুসরণ করেছেন শোয়েব মালিকদের।

ব্যাপারটা খোলাসা করা বলা যাক। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে কাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৭ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। আর মেয়েদের ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩৯ রানের জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঠিকই ধরেছেন, নিকার্করা মিলারদের মতো না হেরে পাকিস্তানের মতো জয় তুলে নিয়েছেন। তবে এই জয়ের ভেতরে ঘটেছে চমকপ্রদ কাণ্ড।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কাল ৯ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। অর্থাৎ পাকিস্তানের ইনিংসে অন্তত ৩০ রানও কেউ করতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ন্যূনতম ৩০ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস ছাড়া কোনো দলের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড দেখা গেছে দুই বছর আগে। পাকিস্তান বনাম বিশ্ব একাদশ ম্যাচে। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান তুলেছিল বিশ্ব একাদশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহেও জড়িয়ে আছে পাকিস্তানের নাম। ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান তুলেছিল পাকিস্তান। আর তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহও গড়ল সেই পাকিস্তান-ই। কাল সেঞ্চুরিয়নে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল প্রোটিয়া মেয়েরা। ছবি: টুইটার
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল প্রোটিয়া মেয়েরা। ছবি: টুইটার

এবার আসা যাক প্রোটিয়া মেয়েদের প্রসঙ্গে। লঙ্কান মেয়েদের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে নিকার্কের দল। দুটি ত্রিশোর্ধ্ব রানের ইনিংসে ভর করে এই সংগ্রহ পায় প্রোটিয়া মেয়েরা। তবে ন্যূনতম ৪০ রান কেউ করতে পারেনি। মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে ন্যূনতম ৪০ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস ছাড়া এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। সেই শোয়েব মালিকদের মতোই। ন্যূনতম ৩০ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস ছাড়া পাকিস্তান গড়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। আর প্রোটিয়া মেয়েরাও গড়েছে তৃতীয় সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর—তবে সেটি ন্যূনতম ৪০ রানের ব্যক্তিগত ইনিংস ছাড়া। এটুকুই যা পার্থক্য।

শেষ টি-টোয়েন্টি জিতলেও সিরিজ উদ্ধার করতে পারেনি পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নিয়েছেন ডেভিড মিলাররা। এই একটি জায়গায় অবশ্য মিল পরেছে প্রোটিয়া ছেলে-মেয়েদের। নিকার্করাও জিতেছেন সিরিজ, সেটি অবশ্য ৩-০ ব্যবধানে।