প্রস্তুতি ছাড়াই নিউজিল্যান্ডে খেলবে বাংলাদেশ?

মোস্তাফিজ-লিটনরা কাল রওনা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডে। ছবি: প্রথম আলো
মোস্তাফিজ-লিটনরা কাল রওনা হয়েছেন নিউজিল্যান্ডে। ছবি: প্রথম আলো
>

১০ ফেব্রুয়ারি প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশ দাঁড় করানোই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মাত্রই ৮ ক্রিকেটার পৌঁছেছেন নিউজিল্যান্ডে। বাকিদের যাওয়ার কথা ৯ ফেব্রুয়ারি। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার খুব একটা সুযোগ হবে না এই খেলোয়াড়দের। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষ লড়াইয়ে নামতে এক প্রকার প্রস্তুতি ছাড়াই।

কাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে ঘুরেফিরে আসছিল প্রসঙ্গটা—বাংলাদেশ ১০ ফেব্রুয়ারি প্রস্তুতি ম্যাচটা খেলবে কী করে? প্রথম ভাগে নিউজিল্যান্ডে গেছেন ওয়ানডে দলের ৮ ক্রিকেটার। বাকিরা রওনা দেবেন ৯ ফেব্রুয়ারি। দ্বিতীয় ধাপে রওনা দেওয়া খেলোয়াড়দের ১০ তারিখের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা শুধু কঠিনই না, অসম্ভবও।

অবস্থা যা দাঁড়িয়েছে, প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের একাদশই দাঁড় করানো কঠিন। বিকল্প সমাধান হিসেবে বিসিবি চিন্তা করছে, টেস্ট খেলা দু-তিনজনকে দ্রুত নিউজিল্যান্ড পাঠানো যায় কি না। যদি সেটি হয়, নিউজিল্যান্ডে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ কোনোভাবে খেলা হবে। কিন্তু পরে যাওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে মাত্র দুই দিনের প্রস্তুতি নিয়েই নেমে পড়তে হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি নেমে পড়তে হবে নেপিয়ারে, প্রথম ওয়ানডে খেলতে।

২০১৬ সালে বাংলাদেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়ে খেলতে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডে। চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাহিদা মতো সিডনিতে দুই সপ্তাহের কন্ডিশনিং ক্যাম্প, ৮-১০ দিন আগে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছে যাওয়া—প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি না থাকার পরও কিউইদের বিপক্ষে বাংলাদেশ এক প্রকার বিধ্বস্ত হয়েছিল প্রতিটি সংস্করণেই। এবার প্রস্তুতি ছাড়া যাওয়া হচ্ছে, কী হবে, সেই শঙ্কা থাকছেই।

প্রস্তুতি ছাড়া নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়া বাংলাদেশের কোনো আশা আছে? বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি উত্তরটা দিলেন রসিকতার সুরেই, 'ভালো প্রস্তুতি নিয়েই গতবার পারিনি (একটা ম্যাচও জিততে)! এবার প্রস্তুতি ছাড়া গিয়ে যদি পারি তাহলে পরেরবার প্রস্তুতি ছাড়াই যাব। বিশ্বকাপের জন্য এটা খুব ভালো প্রস্তুতি। সামনের ছয় বা পাঁচ মাসের দিকে যদি তাকান, এটা আদর্শ কন্ডিশন (প্রস্তুতি নেওয়ার)। বিশ্বকাপের জন্য একটা ভিত্তি তৈরি করা যাবে। বিপিএল চলছিল, কিছু করার নেই। আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। খারাপ হলে মানুষ খারাপ বলবে। ভালো হলে ভালো বলবে। মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করব আমরা। অবশ্যই জেতার চেষ্টা করব। সেরা ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব।’

তবে বাস্তবতা বুঝেই মাশরাফি বলছেন, খুব একটা আশা দিতে চান না তিনি, ‘বেশি আশা দেব না। আমি অনেক ইতিবাচক অবশ্যই। বলার সময় এতটা আত্মবিশ্বাস থাকে না আমার। তবে পূর্ণ আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলব আশা করি। সম্ভাবনা তো অবশ্যই আছে। শেষ সফরে কিন্তু আমরা একটা ম্যাচে জয়ের কাছাকাছি ছিলাম। ২৫১ রানে ওদের অলআউট করেছিলাম। এক শ রানের মতো জুটি হয়েছিল ইমরুল ও সাব্বিরের। তারপর ব্যাটিং বিপর্যয় হয়। ভালো একটা সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম। হাতছাড়া করেছি। এবার যদি ওরকম সুযোগ পাই আমরা যেন হাতছাড়া না করি। প্রত্যাশা করছি। তবে কঠিন, অনেক কঠিন।’