'অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে'

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের চিঠি এই মুহূর্তে ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে বলে জানিয়েছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

বিভিন্ন অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাফুফে সভাপতিসহ দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল সংস্থার আরও দুই শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও এই অনুসন্ধান চলছে। তাঁরা হলেন বাফুফের নির্বাহী সদস্য ও মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এবং প্রধান হিসাব কর্মকর্তা আবু হোসেন।

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের চিঠি এই মুহূর্তে ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। স্বাভাবিকভাবে চিঠির খবর পৌঁছে গেছে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলের কাছেও। গতকাল সম্মিলিত ক্রীড়া পরিবারের দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন কেউ অন্যায় করলে শাস্তি পেতেই হবে, ‘কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তাহলে তাকে তো শাস্তি পেতেই হবে। যেহেতু বাফুফেকে দুদক চিঠি দিয়েছি তাই আমরা এটা খতিয়ে দেখব। যদি তারা নির্দোষ প্রমাণিত হয় তাহলে কিছু করার নেই।’

কোনো ফেডারেশনের দুদকের চিঠি পাওয়ার ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী, ‘আগে কখনো দেখিনি কোনো ক্রীড়া ফেডারেশনকে দুদক চিঠি দিয়েছে। আমরাও আমাদের মতো যথাযথ ব্যবস্থা নেব এই বিষয়ে।’

সূত্র জানায়, গত বছরের মাঝামাঝি কাজী সালাউদ্দিন ও অন্য দুজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক আহমারুজ্জামান অনুসন্ধান শুরু করেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা নিজ বাহিনীতে ফেরত গেলে অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান আরেক উপপরিচালক নাসির উদ্দিন। তিনিই বাফুফে সভাপতি বরাবর চিঠিটি পাঠিয়েছেন। চিঠির বিষয় বস্তুতেই মূল অভিযোগের কথা উল্লেখ রয়েছে।

অভিযোগগুলো জানতে