ভারত নয়; পন্টিংয়ের বিশ্বকাপ ফেবারিট অস্ট্রেলিয়া!

২০১৫ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া দল। ফাইল ছবি
২০১৫ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া দল। ফাইল ছবি

আত্মবিশ্বাস—রিকি পন্টিংয়ের চেয়ে বেশি আর কার থাকতে পারে! অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছেন, ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সব সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রানও তাঁর। সবকিছুর মূলেই তো আত্মবিশ্বাস। সহকারী কোচ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার ২০১৯ বিশ্বকাপ দলের অংশ হয়ে টিম পেইনদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের সেই রেণুটাই যেন ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। কাল বলেছেন, তাঁর বিশ্বাস এবারও ক্রিকেট বিশ্বকাপটা জিততে পারে অস্ট্রেলিয়া।

ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স মোটেই ভালো নয়। সর্বশেষ ২৬ ম্যাচের মাত্র ৪টিতে জিতেছে সর্বশেষ বিশ্বকাপজয়ীরা। জাস্টিন ল্যাঙ্গার কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ১১ ম্যাচে জয় ২টি। তবে সময়মতো অস্ট্রেলিয়া জ্বলে উঠবে বলেই বিশ্বাস পন্টিংয়ের, ‘নিশ্চয়ই অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ জিততে পারে। আমি কোচদের একজন বলেই এটা বলছি না। আমি যখন কোচ ছিলাম না তখনো একই কথা বলেছি। ইংল্যান্ডের কন্ডিশন আমাদের খেলার ধরনের সঙ্গে মানানসই...নিশ্চিত করেই অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার।’

খেলোয়াড় হিসেবে তিনটি আর অধিনায়ক হিসেবে যিনি দুটি বিশ্বকাপ জেতেন, তাঁর একটা অহম তো থাকেই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ জয়ের কথাটা পন্টিং সেই অহংবোধ থেকে বলেননি। এর পেছনে যুক্তিও দেখিয়েছেন, ‘এই মুহূর্তে ইংল্যান্ড ও ভারত অসাধারণ দুটি দল। কিন্তু আমাদের দলে (স্টিভ) স্মিথ ও (ডেভিড) ওয়ার্নার যোগ হলে অস্ট্রেলিয়াও যেকোনো দলের মতোই শক্তিশালী।’

পন্টিং স্মিথ ও ওয়ার্নারের কথা বলতেই চলে এসেছে তাঁদের দুজনের ফেরা আর বিশ্বকাপের জন্য তাঁরা কতটা তৈরি থাকবে সেই প্রসঙ্গ। গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে অস্ট্রেলিয়া দলের বল টেম্পারিংয়ের জের ধরে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। তাঁদের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে ২৯ মার্চ। এর মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট বলতে দুজনে খেলেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। তাও পুরো টুর্নামেন্ট খেলতে পারেননি কেউই। দুজনেই কনুইয়ের চোট নিয়ে ফিরে গেছেন দেশে। কনুইয়ে অস্ত্রোপচারও করাতে হয়েছে দুজনকে।

স্মিথ ও ওয়ার্নার নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন পাঁচ ম্যাচের সিরিজের দলে না–ও থাকতে পারেন। মার্চে যে সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানে। কিন্তু নিরাপত্তাশঙ্কায় অস্ট্রেলিয়া সেখানে যেতে রাজি না হওয়ায় সিরিজটি শেষ পর্যন্ত হচ্ছে আরব আমিরাতে। এই সিরিজে না খেললেও স্মিথ–ওয়ার্নারকে দলে রাখার পক্ষে পন্টিং, ‘বিশ্বকাপ আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী খুব কমই এগোতে পারে। ২০০৩ সালে আমরা চোটে পড়া মাইকেল বেভানকে নিয়ে গিয়েছিলাম। ড্যারেন লেম্যান নিষিদ্ধ ছিলেন। ওয়ার্নি (শেন ওয়ার্ন) ও জেসন গিলেস্পিকে দেশে ফিরে যেতে হয়েছিল।’

কেউ কেউ আবার অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের স্পিন-দুর্বলতার বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়েছেন পন্টিংকে। এটাকেও দূরে ঠেলে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষেই যুক্তি দেখিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক, ‘আমাদের ব্যাটিং লাইনআপের দিকে তাকিয়ে দেখুন, গত বছরের তুলনায় এখন মিডলঅর্ডারে স্পিন খেলতে পারা কয়েকজন ভালো ব্যাটসম্যান আছে। আর ইংলিশ কন্ডিশনে বিশ্বকাপজুড়ে স্পিন বোলিং অতটা কাজে লাগারও কথা নয়।’