'নিউজিল্যান্ডে সাফল্য পেতে দরকার পেসারদের'

পেসারদের ওপর আস্থা রাখতে হবে বাংলাদেশকে, অভিমত মরিসনের। ছবি: টুইটার
পেসারদের ওপর আস্থা রাখতে হবে বাংলাদেশকে, অভিমত মরিসনের। ছবি: টুইটার
>নিউজিল্যান্ডে প্রথমবারের মতো তিন টেস্টের সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। খেলবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে সব ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ২১ ম্যাচ খেলেও জয়ের মুখ না দেখা বাংলাদেশ কীভাবে কিউইদের তাদের মাঠে হারাতে পারবে? টোটকা বাতলে দিয়েছেন সাবেক কিউই পেসার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসন।

দেশে কিংবা নিরপেক্ষ মাঠে কিউইদের বিপক্ষে সাফল্য পেলেও, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে গিয়ে মুদ্রার উল্টোপিঠটাই দেখে বাংলাদেশ। সব ফরম্যাট মিলে ২১ ম্যাচ খেলেও একটিতেও জেতেনি বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের প্রতিকূল পরিবেশে এবার তিন টেস্ট ও তিন ওয়ানডের সিরিজ খেলতে গেছে তামিম-মুশফিকরা। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এবারই সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। দীর্ঘ এই সফরে বাংলাদেশ যদি ভালো করতে চায়, তাহলে আস্থা রাখতে হবে দলের পেসারদের ওপর। এমনটাই মানছেন ড্যানি মরিসন।

নিউজিল্যান্ডে ভালো করতে হলে পেসারদের জ্বলে ওঠা ছাড়া বিকল্প নেই বলে মনে করেন সাবেক কিউই পেসার, ‘নিউজিল্যান্ডে প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমার মনে হয় দীর্ঘ এই সফরে ভালো করার জন্য যেমন পেস বোলিং বিভাগ দরকার, বাংলাদেশের তা রয়েছে। আমি জানি মোস্তাফিজ ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি খেলতেই বেশি পছন্দ করে, তবুও তার প্রতিভা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। রুবেলের গতি যথেষ্ট। দুই বছর আগেও রুবেলের ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও এখন সে নিজেকে বেশ গুছিয়ে এনেছে। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যেও বৈচিত্র্য আছে। তারা ভিন্ন ভিন্ন উচ্চতার। দুজন বাঁহাতি পেসারও রয়েছে। তারা বেশ ভালো সুইংও করতে পারে।’
বিপিএলে খালেদ আহমেদের বোলিং বেশ মনে ধরেছে মরিসনের, ‘একটা পেসার আছে, খালেদ আহমেদ নাম, বেশ লম্বা করে। বিপিএলে ওর যেমন পারফরম্যান্স দেখলাম তাতে আমি মুগ্ধ হয়েছি। খালেদ আহমেদ বাংলাদেশের বোলিংয়ে আরও বৈচিত্র্য আনতে পারবে।' তাসকিনের চোট হতাশ করেছে মরিসনকে, ‘তরুণ প্রতিভাদের ঠিকঠাক পরিচর্যা করতে গেলে বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, তাসকিনের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হচ্ছে। তাসকিন খেলতে পারলে বাংলাদেশের জন্য বেশ ভালো হতো।’

নিউজিল্যান্ডের প্রতিকূল আবহাওয়ায় ভালো করতে হলে পেস বোলারদের সুইংনির্ভর হতে হবে বলে মনে করছেন মরিসন, ‘আমরা ধারাভাষ্যকারেরা সব সময় একটা কথা বলি, বোলিংয়ের প্রথম অধ্যায়ের প্রথম পাঠ— লাইন আর লেংথ। এই দুটি বজায় রেখে বল করতে হবে। কীভাবে সুইং করাতে হয়, সেটা জানতে হবে। তিন টেস্টের দীর্ঘ সিরিজে পেসারদের ফিট থাকাটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের পেসাররা কতটুকু ফিট থাকতে পারছে, প্রতিকূল পরিবেশে কীভাবে মানিয়ে নিয়ে দলের বোলিংয়ের হাল ধরতে পারছে - এসব কিছুর ওপরেই নির্ভর করবে সিরিজের ফলাফল। নিউজিল্যান্ডের দলটার দিকে দেখুন— টিম সাউদি, নিল ওয়াগনার, ট্রেন্ট বোল্ট, কলিন ডি গ্রান্ডহোমের মতো পেস বোলার আছে, যারা একে অপরের চেয়ে ভিন্ন। বোলিংয়ের এই বৈচিত্র্যই ম্যাচ জেতাতে সাহায্য করে। নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়াও বৈচিত্র্যময়, বাংলাদেশের পেসারদের সে কথাটাও মাথায় রেখে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে।’
১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে ওয়ানডে সিরিজ। শেষ হবে ২০ ফেব্রুয়ারি। এরপর শুরু হবে টেস্ট সিরিজ। প্রথম টেস্ট ২৮ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় টেস্ট ৮ মার্চ আর সিরিজের তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৬ মার্চ।