বার্সেলোনাকে ধরেই তো ফেলল রিয়াল!

লিগে টানা পঞ্চম জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: এএফপি
লিগে টানা পঞ্চম জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ছবি: এএফপি

আর্জেন্টিনার জার্সিতে একসঙ্গে খেলেছেন, মাদ্রিদ ডার্বিতে ছিলেন ডিয়েগো সিমিওনের বিপক্ষে। সিমিওনে খেলা ছেড়ে কোচিংয়ে আসার পর আর্জেন্টিনার ক্লাব সান লরেঞ্জোতে মাস ছয়েক সিমিওনের অধীনেও খেলেছেন। মাদ্রিদের যুবদলের কোচ থাকার সময়ে কফির টেবিলে সিমিওনের কাছ থেকে কত সন্ধ্যায় নিয়েছেন ফুটবল-শিক্ষা।

সেই সোলারিই পরশু রিয়ালের ডাগআউটে প্রথম মাদ্রিদ ডার্বিতে হারিয়ে দিলেন সতীর্থ-প্রতিপক্ষ-কোচ সিমিওনেকে! অ্যাটলেটিকোরই মাঠ ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোতে ৩-১ গোলে জিতে সিমিওনের অ্যাটলেটিকোকেই টপকে স্প্যানিশ লিগের পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে উঠেছে রিয়াল, সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম। দুইয়ে ফেরা রিয়ালের স্বপ্ন এখন শিরোপা।

মাসখানেক আগেও কে ভাবতে পেরেছিল এটা! মৌসুমের শুরু থেকে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাওয়া রিয়াল নতুন বছরটাও শুরু হয়েছিল বাজেভাবে, প্রথম পাঁচ ম্যাচে দুই জয়-দুই হারে। সেই রিয়ালই লিগে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচ জিতেছে, সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সর্বশেষ ১০ ম্যাচে ৮ জয়, ১ হার। বড় পরীক্ষা ছিল অ্যাটলেটিকো ম্যাচটা, তাতেও পরশু এল জয়। এতে পরশু পর্যন্ত এক ম্যাচ বেশি খেলে বার্সার সঙ্গে ব্যবধানটা ৫ পয়েন্টে নামিয়ে এনেছে রিয়াল। কাল রাতে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে জিতে থাকলে অবশ্য ব্যবধান আবার ৮-এ নিয়ে গেছে বার্সা।

রিয়াল কোচ সোলারি আর অধিনায়ক সার্জিও রামোসের কণ্ঠে তবু শিরোপাদৌড়ে থাকার প্রত্যয়। সোলারি যা–ও রয়েসয়ে বলেছেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ সবকিছুতেই শেষ পর্যন্ত লড়ে। আমাদের পা মাটিতে আছে, জানি আমাদের অনেক খাটতে হবে’; রামোস চ্যালেঞ্জই ছুড়ে দিয়েছেন বার্সেলোনাকে, ‘এখনো অনেক পয়েন্টের খেলা বাকি। যা দেখেছি, লিগে যে কেউই যে কাউকে হারাতে পারে। আমরা তিন শিরোপার জন্যই ঝাঁপাব। লিগেও আমরা লড়ে যেতে চাই, বার্সেলোনার জন্য কাজটা যতটা সম্ভব কঠিন করতে চাই।’

মেত্রোপলিতানোতেও পরশু লড়াকু রিয়ালকেই দেখা গেছে। শুরুটা অ্যাটলেটিকোরই উজ্জ্বল ছিল, কিন্তু গোলে প্রথম শটেই রিয়ালের এগিয়ে যাওয়া। গোলটাও কী দারুণ! কাসেমিরোর চোখধাঁধানো ওভারহেড কিকে। দুই দলে ৪ গোল, এক লাল কার্ডে জমে ওঠা মাদ্রিদ ডার্বিতে এরপর রিয়ালের পাশাপাশি দাপট ছিল ভিএআরের। ২৯ মিনিটে আঁতোয়ান গ্রিজমানের সৌজন্যে অ্যাটলেটিকোর সমতাসূচক গোলটি রেফারি নিশ্চিত হয়েছেন ভিএআর দেখে। ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে রামোসের গোলে রিয়ালের আবার এগিয়ে যাওয়া, তার আগে আবার ভিএআর। ভিনিসিয়ুসকে অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডার হিমেনেজ ফাউলটা বক্সের বাইরে করেছিলেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার পরই পেনাল্টি দিয়েছেন রেফারি। হিমেনেজের অবশ্য দাবি, ‘ফাউলটা বক্সের বাইরেই ছিল, এ নিয়ে আমার কোনো সংশয়ই নেই।’

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অ্যাটলেটিকোর মোরাতা গোল করলেও সেটি বাতিল হয় ভিএআরে, অফসাইডে ছিলেন মোরাতা। ৭৪ মিনিটে রিয়ালের জার্সিতে গ্যারেথ বেলের ১০০তম গোলটিতে অবশ্য ভিএআর বাগড়া দেয়নি। দেয়নি ৮০ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর থমাস পার্তের লাল কার্ডেও। ভিএআরের সিদ্ধান্তের বেশির ভাগই তাঁর দলের বিপক্ষে গেলেও সিমিওনে প্রতিপক্ষের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়েছেন, ‘কোনোভাবেই বলতে পারি না যে ভিএআরের কারণে আমরা হেরেছি। প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত খেলেছে বলেই অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ হেরেছে।’

দল

ম্যাচ

জয়

ড্র

হার

পয়েন্ট

বার্সেলোনা

২৩

১৫

৫১

রিয়াল

২৩

১৪

৪৫

অ্যাটলেটিকো

২৩

১২

৪৪

সেভিয়া

২৩

১০

৩৭

গেটাফে

২৩

৩৫

রি. বেতিস

২৩

৩২

আলাভেস

২২

৩২

ভ্যালেন্সিয়া

২৩

১৩

৩১

সোসিয়েদাদ

২৩

৩১

এইবার

২৩

৩০