রোনালদো কেন দিবালাকে নকল করলেন?

দিবালার ভঙ্গি নকল করে গোল উদ্‌যাপন রোনালদোর। ছবি: টুইটার
দিবালার ভঙ্গি নকল করে গোল উদ্‌যাপন রোনালদোর। ছবি: টুইটার

গোল করেই কর্নার ফ্ল্যাগের দিকে ছুটে যাওয়া। তারপর লাফ দিয়ে শূন্যে থাকা অবস্থায় শরীর ঘুরিয়ে নেওয়া অবস্থায় হাত দুটি উপরে তুলে আবার পেছনের দিকে ছিটকে দিয়ে আওয়াজ তোলা ‘সিইইই...’। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর এমন উদ্‌যাপনটা এখন ট্রেড মার্কই হয়ে গেছে। কিলিয়ান এমবাপ্পের মতো ফুটবলার পর্যন্ত বয়সভিত্তিক দলে এভাবে গোল উদ্‌যাপন করতেন। সেই রোনালদোকে কেন পাওলো দিবালার গোল উদ্‌যাপন নকল করতে হবে?

গতকাল সাসসুলোর বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে জুভেন্টাস। প্রতিপক্ষের মাঠে এমন জয়েও তুরিনের ক্লাবটি ঠিক সন্তুষ্ট হতে পারেনি সমর্থকেরা। কারণ এমন জয়েও যে ক্লাবের মধ্যকার চলমান অস্বস্তি লুকানো যায়নি। জুভেন্টাসের ভবিষ্যৎ বলে ভাবা হচ্ছে, সেই দিবালাকে যে কালও নামানো হয়েছে প্রায় শেষ মুহূর্তে। যেখানে দিবালা-রোনালদো জুটির স্বপ্ন দেখছিল সবাই, সেখানে দিবালাকে এভাবে বারবার একাদশ থেকে দূরে রাখছেন কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালিগ্রি! গতকালও ম্যাচের শেষ সাত মিনিটে নামানো হয়েছে তাঁকে। কোচ ও দিবালার মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েনের ফল বলেই ভাবা হচ্ছে একে।

ম্যাচ শেষে অ্যালেগ্রি অবশ্য এসব কথা উড়িয়ে দিতে চাইলেন, ‘আমরা ক্রিস্টিয়ানো ও দিবালাকে নিয়েও নামতে পারতাম। কিন্তু আমাদের অনেক পরিপূর্ণ একটি দল দরকার ছিল। সাসসুলো মাঠের মাঝে খুবই শক্তিশালী দল। তাই আমি এমন খেলোয়াড় ব্যবহার করেছি, যারা এ উদ্দেশ্য পূরণে সাহায্য করবে।’

কোচ যাই বলুন না কেন, দিবালাকে এভাবে বসিয়ে রাখা যে খেলোয়াড়দেরই পছন্দ হচ্ছে না সেটা রোনালদো প্রমাণ করে দিয়েছেন। দলের দ্বিতীয় গোল করার পর রোনালদো দিবালার ট্রেডমার্ক ‘গ্লাডিয়েটর মাস্ক’ উদ্‌যাপনটা করে দেখিয়েছেন। রোনালদোর এমন কাণ্ডকে দিবালার প্রতি দলের সবার ভালোবাসা হিসেবেই দেখছেন অনেকে।

পার্মার বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই স্টেডিয়াম ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন দিবালা। এর পর থেকেই কোচের সঙ্গে শীতল সম্পর্ক চলছে তাঁর। যদিও দুজনই এমন কিছুর কথা অস্বীকার করছেন, তনু একের পর এক ম্যাচ তাঁর এভাবে বসে থাকা কিন্তু অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাজারে এমনিতেই গুঞ্জন, দিবালাকে বিক্রি করে দিতে পারে জুভেন্টাস। সে ক্ষেত্রে রিয়াল মাদ্রিদে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়া ইসকোকে দলে নেবে জুভেন্টাস। মজার ব্যাপার, রিয়াল মাদ্রিদেও ইসকোর সঙ্গে কোচ সোলারির ব্যক্তিত্বের সংঘাতই খেলোয়াড়কে বেঞ্চে চিরস্থায়ী জায়গা করে দিয়েছে।