বাংলাদেশে কঠিন চ্যালেঞ্জ দেখছেন গাপটিল

স্ত্রী লরার কোলে কন্যাকে ফিরিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন গাপটিল। ছবি: এনজেডহেরাল্ড
স্ত্রী লরার কোলে কন্যাকে ফিরিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন গাপটিল। ছবি: এনজেডহেরাল্ড
>ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটা ৪-১ ব্যবধানে হারতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ দেখায় দুটি ম্যাচই হেরেছে কিউইরা। দল আর নিজের বাজে ফর্ম নিয়ে আজ কথা বলেছেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল

বাংলাদেশ ২: ০ নিউজিল্যান্ড! দুই দলের সর্বশেষ মুখোমুখি হওয়া ম্যাচের ফল। দুটি ম্যাচই জিতেছে বাংলাদেশ। যদি এর মধ্যে ভুল মেরে বসে থাকেন, আপনার মনে হতে পারে, ম্যাচ দুটি হয়তো বাংলাদেশে হয়েছে। না, বাংলাদেশে নয়। নিউজিল্যান্ডেও নয়। তবে ইংলিশ কন্ডিশনে, যার সঙ্গে কিউইদের খেলাই মিলে যায় বেশি। বাংলাদেশ কখনোই নিউজিল্যান্ডকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে হারাতে পারেনি। ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হারেনি নিজেদের মাটিতে। নিরপেক্ষ ভেন্যুর ফল সাক্ষী মানলে তো বাংলাদেশই এগিয়ে!

ভারত কদিন আগেই নিউজিল্যান্ডকে তাদেরই মাটিতে ৪-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজে লজ্জা দিয়ে গেল। বাংলাদেশি সমর্থকেরা আশায় বুক বাঁধতে পারেন, নিউজিল্যান্ডের মাঠে অধরা সেই জয়টা এবারই আসবে। মার্টিন গাপটিলও মানছেন, ‘এটা কঠিন একটা সিরিজ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ তো খুবই মানসম্পন্ন দল।’ এই মানের কথা তিনি বলছেন সাকিব আল হাসান শেষ মুহূর্তে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়ার পরও।

অবশ্যই এই সিরিজে নিউজিল্যান্ড ফেবারিট, বাংলাদেশ আন্ডারডগ। তবে নানা কারণে এই সিরিজে নিউজিল্যান্ডের চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। ভারতের কাছে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার ধাক্কা কিছুটা তারা সামলে উঠেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে। কিন্তু ভিন্ন ফরম্যাটে মানিয়ে নেওয়ার তাগিদ তো আছেই। গাপটিল ভারতের সিরিজ থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে বলছেন।

ভারতের বিপক্ষেও নেপিয়ারে শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। যে ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল স্বাগতিকেরা। যেটা সিরিজের গতিপথই হয়তো ঠিক করে দিয়েছিল। সেই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের তিন স্পিনার। বাংলাদেশের বিপক্ষেও নেপিয়ারে সিরিজ শুরু। গাপটিল বলছেন, ‘এখানকার উইকেট ততটা শক্ত আর গতিময় ছিল না, যতটা আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম। আমরা সেভাবে মানিয়েও নিতে পারিনি। খেলার আসল সূত্রটাই হলো আপনি কত দ্রুত কন্ডিশন বুঝে তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন, ড্রেসিংরুমে ঠিক বার্তাটা যথাযথভাবে দেবেন।’

এই সিরিজ নিয়ে নিউজিল্যান্ড বিশেষভাবে ভাববে আরও একটা কারণে। বিশ্বকাপের আগে তাদের আর সিরিজ নেই। এটাই দলটাকে বাজিয়ে দেখার শেষ সুযোগ। গাপটিলের জন্যও সুযোগ নিজের ব্যাটের ধুলো ঝেড়েপুঁছে ঠিক করে ফেলার। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের একজন, কিন্তু ফর্ম যে ভালো যাচ্ছে না। তার ওপর চোটও ভুগিয়েছে। ফলে নিজের সেরা ছন্দ ফিরে পেতে গাপটিলের জন্য বাড়তি চাপ হয়ে আসছে কি না এই সিরিজ?

গাপটিল অবশ্য সরল জবাব দিলেন, ‘ক্রিকেটে এমনটা হতেই পারে। কখনো আপনি ভালো খেলবেন, এরপর বাজে সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। পিঠের চোটটা খুবই ভুল সময়ে হয়েছে। পেশাদার ক্রিকেটে এমনটা হয়ই। কখনো না কখনো আপনাকে চোটে ভুগতেই হবে। তবে আমার জন্য গত কয়েক বছরে চোট বারবার ফিরে আসছে। আশা করি কাল মাথা পরিষ্কার করে আত্মবিশ্বাস নিয়ে মাঠে নামতে পারব।’