চলে গেলেন বিশ্বকাপজয়ী গর্ডন ব্যাঙ্কস

গর্ডন ব্যাঙ্কস (ছবি - টুইটার)
গর্ডন ব্যাঙ্কস (ছবি - টুইটার)
>১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলেন গোলরক্ষক গর্ডন ব্যাঙ্কস। গত রাতে ৮১ বছর বয়সে ঘুমের মধ্যেই শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।

ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন বিশ্বকাপ জয় হলেও, গর্ডন ব্যাঙ্কসকে বিশ্ববাসী মনে রেখেছে ১৯৭০ বিশ্বকাপে পেলের একটা হেড অবিশ্বাস্যভাবে আটকে দেওয়ার জন্য। যে সেভকে এখনো ইতিহাসের অন্যতম সেরা সেভের তালিকায় ওপরের দিকে রাখা হয়। গোলরক্ষণকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া পথপ্রদর্শকদের একজন ছিলেন এই ব্যাঙ্কস। গত রাতে ৮১ বছর বয়সে ঘুমের মধ্যেই পরলোকে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি।

ব্যাঙ্কসের সাবেক ক্লাব স্টোক সিটি তাঁর পরিবারের বরাত দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করেছে, ‘গর্ডন ব্যাঙ্কসের পরিবারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, গত রাতে ঘুমের মধ্যেই পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন ব্যাঙ্কস। আমাদের অনেকবার আনন্দের সাগরে ভাসিয়েছেন ব্যাঙ্কস, তাঁকে হারিয়ে আমরা মর্মাহত। সব অর্জনের জন্য আমরা তাঁর প্রতি অনেক গর্বিত।’

যুগে যুগে দিনো জফ, লেভ ইয়াসিনদের সঙ্গে এই ব্যাঙ্কসই উদ্বুদ্ধ করে গেছেন তরুণ সব গোলরক্ষকদের। তাঁরা প্রমাণ করে গেছেন গোলরক্ষকদেরও যে মহাতারকা হওয়ার সুযোগ আছে। আজকে আলিসন, টের স্টেগেন, কোর্তোয়া, নাভাস, ক্যাসিয়াস, বুফনরা তাঁদের দেখেই গোলরক্ষক হওয়ার স্বপ্ন বুনেছেন মনে। বিশ্বকাপে ন্যূনতম আট ম্যাচ যেসব গোলরক্ষক খেলেছেন, তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে কম গোল খাওয়ার হার ছিল এই ব্যাঙ্কসের।

১৯৭০ সালে ব্রাজিলের বিপক্ষে সেই ম্যাচে পেলের হেডটা অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে নিজেও বিশ্বাস করতে পারেননি! পেলে সেই সেভের পর ব্যাঙ্কসকে বলেছিলেন, ‘খুব ভালো সেভ করেছ, আমি তো ভেবেছিলাম এটা নিশ্চিত গোল।’ জবাবে ব্যাঙ্কস বলেন, ‘আমি নিজেও ভেবেছিলাম!’

১৯৭২ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় দুর্ভাগ্যজনকভাবে ডান চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসর নেন। বেশ কয়েক বছর আগে কিডনির ক্যানসারও ধরা পড়ে। বিদায়ের শেষ বাঁশি হয়তো শুনতেই পাচ্ছিলেন। অবশেষে শেষ হলো জীবনের ৯০ মিনিট!
ব্যাঙ্কসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন গ্যারি লিনেকার, হ্যারি ম্যাগুইরে, মাইকেল ওয়েন, রহিম স্টার্লিং, নেভিল সাউথহল, রে পার্লার প্রমুখ।