নিউজিল্যান্ডকে ২৩৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ

ফিফটির পর মিঠুন, তাঁর ব্যাটেই কোনোভাবে বাংলাদেশের রক্ষা! ছবি: এএফপি
ফিফটির পর মিঠুন, তাঁর ব্যাটেই কোনোভাবে বাংলাদেশের রক্ষা! ছবি: এএফপি
>

নেপিয়ারে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ২৩৩ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। দলীয় সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন মিঠুন, সাইফউদ্দীন করেছেন ৪১।

১৯ রানে ২ ওপেনারকে হারানোর পর প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৫০। ২২.৩ ওভারে ৯৪ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১৫০ রান করতে পারে কি না, এটা নিয়েই ছিল সংশয়। নেপিয়ারে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত যে নিউজিল্যান্ডকে ২৩৩ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে তাতে বড় অবদান মোহাম্মদ মিঠুন আর সাইফউদ্দীনের।

বিপিএল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় নিউজিল্যান্ড সফরের আগে বাংলাদেশ প্রস্তুতির সময় পায়নি বললেই চলে। প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ শুরুতেই যে বিপর্যয়ে পড়েছে তাতে অবশ্য প্রস্তুতির ঘাটতির চেয়ে নিজেদের আত্মহননকেই বেশি দায়ী করতে হবে। প্রথম থেকেই দুই কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও ম্যাট হেনরির তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের টপ-মিডল অর্ডারের ৪ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন এই দুজন। দলীয় মাত্র ৫ রানের মাথায় বোল্টের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১০০ রান তুলতে না তুলতেই হারিয়ে বসে ৬ উইকেট।

ব্যক্তিগত ১ রানে হেনরির বলে বোল্ড হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন আরেক ওপেনার লিটন দাস, দলের রান তখন ১৯। বোল্টের দ্বিতীয় শিকার মিডল অর্ডারের ব্যাটিং-স্তম্ভ মুশফিকুর রহিম। দলীয় স্কোর ৪২ রান না হতেই মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান তিনি। শুরুর ধাক্কা খানিক সামলানোর চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার। ২২ বলে ৩০ রানের ছোটখাটো একটা ঝোড়ো ইনিংস খেলে ৪২ রানের মধ্যে তিনিও চলে যান, হেনরির বলে তাঁর হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে। মিডল অর্ডারে সাকিবের অভাব যথেষ্ট ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে। প্রথম ১০ ওভারে ৫০ রানে ৪ উইকেট, পরের ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৩১, এর পরের ১০ ওভারে ৫৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর শুরু মিঠুনের লড়াই। কখনো যে লড়াইয়ে তাঁকে সঙ্গ দিয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ, কখনো সাব্বির রহমান, কখনো বা মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে এঁরা কেউ নন, মিঠুনকে যোগ্য সঙ্গটা দিয়েছেন আসলে সাইফউদ্দীন। দুজনের অষ্টম উইকেট জুটিতে ৮৪ রান না উঠলে বাংলাদেশের স্কোরটা ভদ্রস্তই হয় না!

মিচেল স্যান্টনারকে সুইপ করতে গিয়ে মিডউইকেটে গাপটিলের হাতে ধরা পড়ে সাইফউদ্দীন ৪১ রানে না ফিরলে বাংলাদেশের স্কোরটা হয়তো আরও ভালো হতো। কিন্তু দারুণ এক লড়াই করে মিঠুনই বা কীভাবে আউট হলেন! লড়াইয়ের জন্য যদি তিনি প্রশংসিত হন, কাঠগড়ায় উঠবেন আউট হওয়ার ধরন নিয়ে। তবুও মিঠুন ৬২ রান করে গেছেন। বাকিরা কী করলেন? ব্যাটসম্যানরা যাঁর যাঁর দায়িত্ব মোটামুটি পালন করলেও তো ৪৮.৫ ওভারে ২৩২ রানে অলআউট হতে হয় না বাংলাদেশকে!