হার, হার, হার এবং হার

গোল করেননি, কিন্তু সাইফের দুই গোলেই আছে পার্কের অবদান। ছবি: প্রথম আলো
গোল করেননি, কিন্তু সাইফের দুই গোলেই আছে পার্কের অবদান। ছবি: প্রথম আলো

প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে মোহামেডান স্পোর্টিং লিমিটেডের শুরুটা হয়েছিল ভালোই। বিজেএমসির বিপক্ষে ২-১ গোলের জয়। এরপর সেই যে পথ হারাল মোহামেডান আর ফিরে পাচ্ছে না। সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে আজ তারা হেরেছে ২-১ ব্যবধানে। এ নিয়ে টানা চার ম্যাচে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ল মোহামেডান। নিকট-সুদূর মিলিয়েও অতীতে কখনো মোহামেডান টানা চার ম্যাচ হেরেছে কি না এ নিয়ে সন্দেহ আছে সবার।

আজকের হারটি আরও বড় হতে পারত। যদি পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ না হতেন সাইফের দক্ষিণ কোরিয়ান মিডফিল্ডার সেউংগিল পার্ক। কোরিয়ান এই মিডফিল্ডার স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হলেও দলের দুইটি গোলেই অবদান আছে তাঁর। ১১ মিনিটেই পার্কের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে ১-০ করেছেন রাশিয়ান স্ট্রাইকার ডেনিস বলশাকোভ। ২৯ মিনিটে ২-০ করতে পারতেন পার্ক নিজেই। কিন্তু স্পট কিক থেকে নেওয়া তাঁর শট বারে লেগে বাইরে গেছে। এর শোধ তুলেছেন বিরতির পর। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৪৭ মিনিটে বাম প্রান্ত দিয়ে বক্সে প্রবেশ করে গোলমুখে কাটব্যাক করেছিলেন। দেখেশুনে বলটা পোস্টে রেখেছেন ডেনিয়ের আন্দ্রেস কর্দোভা।

২-০ তে পিছিয়ে পড়ে ঘুম ভাঙে মোহামেডানের। ৬৭ মিনিটে বদলি আমির হাকিম বাপ্পীর গোলে ব্যবধান কমায় সাদা কালোরা। পাশবনের নেওয়া কর্নার থেকে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার এনকোচা কিংসলের হেড বাপ্পীর মাথা হয়ে জালে। সামনে সমতায় ফিরতে পারার সুযোগ। কিছুটা তেড়েফুঁড়ে ওঠার সুযোগ ছিল। কিন্তু ক্যারিয়ারের গোধূলিলগ্নে থাকা জাহিদ হাসান এমেলি ও মিঠুন চৌধুরী বদলি হিসেবে মাঠে নামলে মোহামেডানের খেলার গতি যায় কমে। এমেলি আর মিঠুনকে শুধু খুঁজে পাওয়া গেল প্রতিপক্ষদের সঙ্গে একটা হাতাহাতির ঘটনায়। সাইফ গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়াকে এমেলি ফাউল করলে হাতাহাতির সূত্রপাত। তবে ঘটনাটার সমাপ্তি অল্পতেই।

এই হারে মাত্র ৩ পয়েন্ট নিয়ে তেরো দলের মধ্যে মোহামেডানের অবস্থান এগারোতম। ৬ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে সাইফ।