নোয়াখালী ডার্বিতে কেউ জেতেনি

গোলশূন্য ড্র নোয়াখালী ডার্বি। ছবি: বাফুফে
গোলশূন্য ড্র নোয়াখালী ডার্বি। ছবি: বাফুফে

নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম যেন নোফেল আর বিজেএমসির কাছে ‘সান সিরো’! ইতালির এই মাঠ যেমন দুই মিলান—ইন্টার আর এসি মিলানের ঘরের মাঠ। একইভাবে নোফেল আর বিজেএমসির হোম ভেন্যু শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম। সেই হিসেবে আজ নোফেল বনাম বিজেএমসি ম্যাচটার গায়ে ছিল নোয়াখালী ডার্বির তকমা। একই শহরের দুই দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে ডার্বি বলে। নোফেল স্থানীয় হলেও বিজেএমসি অবশ্য ঢাকার দল। তবে দুই দলের একই ভেন্যু হওয়ায় ডার্বির মর্যাদা পাওয়া এই ম্যাচে কেউ জেতেনি, কেউ হারেওনি। গোলশূন্য ম্যাচ দুদলকেই দিয়েছে একটি করে মূল্যবান পয়েন্ট।

মূল্যবান পয়ন্টেই। অবনমন শঙ্কাটা প্রবলভাবেই জেঁকে আছে দুই শিবিরে। এর আগে চটগ্রাম আবাহনীর সঙ্গে তৃতীয় ম্যাচে ড্র করে পয়েন্টের খাতা খোলে বিজেএমসি। আজ আরেকটি পয়েন্ট কুড়িয়ে ৬ ম্যাচে সাকল্যে ২ পয়েন্ট। কামাল বাবুর নোফেলও এই ম্যাচের আগে শুধু রহমতগঞ্জের সঙ্গে ড্র করেছিল। কাছাকাছি শক্তির বিজেএমসির কাছ থেকে আজ একটি পয়েন্ট নিয়ে তাদেরও পয়েন্ট ২। তবে নোফেল ম্যাচ খেলেছে ৫টি।

দুই দলের এই লড়াইয়ে কিছুটা শরীর নির্ভর ফুটবলই দেখেছে নোয়াখালীর দর্শকেরা। নোফেলের ইসমাইল বাঙ্গুরা, রিতু, রোমান গোলকিপারকে সামনে পেয়েও জালে বল পাঠাতে পারেননি। তাড়াহুড়ো করে বাইরে মেরেছেন, নাহয় গোলকিপারের গায়ে। বিজেএমসিও একই পথের যাত্রী। বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তাঁদেরও নষ্ট হয়েছে হেলায়। নোফেলের গোলরক্ষক আপেল মাহমুদকে একা পেয়েও তাঁর গায়ে মেরেছেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড মোবারক। সামসি, শরিফরাও ভালো জায়গায় বল পেয়ে লক্ষ্যভেদে ছিলেন ব্যর্থ। সব মিলিয়ে গোল নষ্ট করার আক্ষেপই ছিল নোয়াখালী ডার্বিতে।