বোলাররা জেতাতে পারবেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে?

বোলারদের উদ্‌যাপন মাটি করে দিতে সময় নেননি লঙ্কান টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। ছবি: এএফপি
বোলারদের উদ্‌যাপন মাটি করে দিতে সময় নেননি লঙ্কান টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। ছবি: এএফপি
>

আফ্রিকার মাটিতে অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তরুণ লঙ্কান পেসার লাসিথ আম্বুলদেনিয়া। আম্বুলদেনিয়ার পাঁচ উইকেটের সঙ্গে আরেক নতুন পেসার ভীষ্ম ফার্নান্দোর চার উইকেট মিলিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রোটিয়াদের মাত্র ২৫৯ রানে আটকে রেখেও নিজেরা ব্যাটিং করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি লঙ্কানরা। সেটা হয়নি টপ অর্ডারের ব্যর্থতার কারণেই।

শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে চলে এসেছেন আরেক ‘লাসিথ’। ভবিষ্যতে লাসিথ মালিঙ্গার মতো হতে পারবেন কি না, সে প্রশ্ন তোলা থাক, অন্তত লাসিথ আম্বুলদেনিয়ার অভিষেক দেখে শ্রীলঙ্কার সমর্থকেরা আশায় বুক বাঁধতেই পারেন। অভিষেকেই পাঁচ উইকেট নিয়েছেন এই তরুণ তারকা। তবে আম্বুলদেনিয়া-ফার্নান্দোর পরিশ্রমে একরকম পানি ঢেলে দিয়েছে তাদের টপ অর্ডার। শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য ৩০৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভারে ৮৩ রান তুলতে না তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা।

ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে ৪২ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে ও লাহিরু থিরিমান্নে। প্রায় ১৬ ওভার নির্ঝঞ্ঝাটে কাটিয়ে দেওয়ার পর কাগিসো রাবাদার বলে ফ্যাফ ডু প্লেসির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন থিরিমান্নে, ৫১ বলে ২১ রান করেন তিনি। থিরিমান্নে আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লঙ্কান টপ অর্ডারের প্রতিরোধ ভেঙে যায় যেন। ঠিক চার বল পরে ভারনন ফিল্যান্ডারের বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে যান করুণারত্নে, ৪৭ বলে ২০ রান করে। কিছুক্ষণ পর তাদের দেখানো পথ ধরে চলে যান কুশল মেন্ডিসও। ডুয়ানে অলিভারের বলে কুইন্টন ডি ককের হাতে ক্যাচ দিয়ে রানের খাতা খোলার আগেই চলে যান তিনি। টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর হাল ধরেছেন ওশাদা ফার্নান্দো ও কুশল পেরেরা। ৩৯ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২৮ রান করেছেন ফার্নান্দো, ওদিকে পেরেরার সংগ্রহ ২৩ বলে ১২ রান। হাতে আছে দুই দিন, টেস্ট জিততে প্রোটিয়া বোলারদের সাত উইকেট লাগে, ওদিকে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের লাগবে আরও ২২১ রান। শেষ দুই দিনে আফ্রিকান পেসারদের তোপ সামলে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা আদৌ জিততে পারেন কি না, দেখার বিষয় সেটাই।

আগের ইনিংসে অধিনায়ক ডু প্লেসি ও উইকেটরক্ষক ডি ককের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বেশ ভালো সংগ্রহের দিকেই এগোচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দুজনের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছিলেন ভারনন ফিল্যান্ডারও। ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরির সুবাস পাচ্ছিলেন ডু প্লেসি, ১৮২ বল খেলে ১১টি চারের সাহায্যে ৯০ রান করে ফেলেছিলেন। ওদিকে ওয়ানডে ঢঙে ব্যাটিং করা ডি কক ৬২ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫৫ করেছিলেন। ডি কক আউট হয়ে গেলেও ডু প্লেসির সঙ্গে জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ফিল্যান্ডার, ৫৪ বলে ১৮ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ঝামেলা বাঁধে নতুন বল নেওয়ার পরপর। শ্রীলঙ্কার দুই পেসার লাসিথ আম্বুলদেনিয়া ও ভীষ্ম ফার্নান্দো নতুন বল নিয়ে বল করা শুরু করতে করতেই দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল ও লোয়ার অর্ডার হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। শেষ ৮ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। ফার্নান্দো তুলে নেন ডু প্লেসি, কেশব মহারাজ ও ডেল স্টেইনকে। ওদিকে রাবাদা ও ফিল্যান্ডারকে আউট করে আম্বুলদেনিয়া।