ব্রাজিলিয়ানের দুঃখ ক্রসবার আর আর্জেন্টাইনের পোস্ট

গোল শূন্য ম্যাচের পর হতাশা দুই দলের মাঝেই। ছবি: প্রথম আলো
গোল শূন্য ম্যাচের পর হতাশা দুই দলের মাঝেই। ছবি: প্রথম আলো

বিশ্ব ফুটবলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। কিন্তু প্রতিবেশী দেশের দুই ফুটবলার আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জড়াজড়ি করে আফসোস করে বলতেই পারেন, ‘আজ আমাদের দুজনেরই দুর্ভাগ্যের দিন।’ শেখ জামালের আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার লুসিয়ানো ইমানুয়েলের সামনে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পোস্ট আর শেখ রাসেলের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার অ্যালেক্স রাফায়েলের সামনে ক্রসবার। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটিও হয়েছে গোলশূন্য ড্র।

শেখ রাসেলের কোচ সাইফুল বারি টিটুর গায়ে রক্ষণাত্মক ট্যাগ। কিন্তু আজ তাঁকে একধাপ ছাড়িয়ে গিয়েছেন শেখ জামালের নাইজেরিয়ান কোচ জোসেফ আফুসি। ৫-৩-২ ফরমেশনে তিন সেন্টারব্যাকের সামনে ডাবল পিভট দুই হোল্ডিং মিডফিল্ডার। রাসেলের সঙ্গে কুলিয়ে ওঠা যাবে না ধরে নিয়েই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করে মাঠে নামা। আফুসির কৌশলের কাছে হার মেনে রাসেলও সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে হাতে গোনা। বরং প্রতিপক্ষের চেয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে দ্রুত গতির আক্রমণে জামালই ছিল এগিয়ে। কিন্তু উভয় দলের সামনেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তেকাঠি।

ম্যাচের ৭ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত শেখ জামাল। কিরগিজ মিডফিল্ডার ডেভিড ব্রুসের এরিয়াল থ্রুতে বক্সের মধ্যে থেকে বাম পায়ে বুলেট গতিতে ভলি করেছিলেন লুসিয়ানো। কিন্তু দুর্ভাগ্য পোস্টে লেগে ফিরে আসে। লিগে এখন পর্যন্ত তিন গোল করা এই আর্জেন্টাইনের জন্য আজকের দিনটা ছিল হতাশারই। বিরতিতে যাওয়ার আগে তাঁর আরও একটি প্লেসিং পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধে নোটবুকে তোলার মতো এই দুটি মুভ-ই!

দ্বিতীয়ার্ধটা শেখ রাসেলের। গোল না করতে পারলেও ছিল ধারাবাহিক আক্রমণ। বিশেষ করে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার রাফায়েল বদলি নামলে রাসেলের আক্রমণের গতি বেড়ে যায়। ৫৯ মিনিটে তাঁর একটি শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। রাসেলের অন্য মিডফিল্ডার খালেকুজ্জামান সবুজেরও একটি শট ক্রসবারে চুমু খেয়ে বাইরে।

এই ড্রয়ে ৬ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে শেখ রাসেল। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১১ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে শেখ জামাল।