বার্সেলোনা আজও ড্র করেছে

গোল পাননি মেসি। ছবি: এএফপি
গোল পাননি মেসি। ছবি: এএফপি
>চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর ম্যাচে অলিম্পিক লিওঁর সঙ্গে গোলশূণ্য ড্র করেছে বার্সেলোনা।

সব প্রতিযোগিতায় এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচের চারটিই ড্র করেছে বার্সেলোনা। যে একটি জয় পেয়েছে তাও খুঁজে–পেতে বলা যায়। চ্যাম্পিয়নস লিগে লিওঁর বিপক্ষে প্রথম লেগের ম্যাচটিতে অন্তত ফিরে আসবে মেসিরা এটাই প্রত্যাশা ছিল বার্সেলোনা সমর্থকদের। ভালভার্দের শিষ্যরা বরং হতাশই করেছে সমর্থকদের। লিওঁর মাঠে প্রথম লেগের ম্যাচটি বার্সা গোলশূণ্য ড্র করে ফিরেছে। তাই বার্সেলোনার কপালে চ্যাম্পিয়নস লিগে কী লেখা আছ, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। চোখ রাখতে হচ্ছে ১৩ মার্চ ন্যু ক্যাম্পের খেলার দিকেই।

শেষ পর্যন্ত লিওঁর সভাপতি জ্যাঁ-মিশেল অলাসের কথাই সত্যি হলো। ম্যাচের আগে মেসিকে নিয়ে ৭০ বছর বয়সী লিওঁ সভাপতি বলেন, ‘মেসিকে কখনই আমাদের বিপক্ষে অপ্রতিরোধ্য বলে মনে হয়নি আমার কাছে। সে তুলনায় আমার যত দূর মনে পড়ে, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বেশ ভালো খেলেছে আমাদের বিপক্ষে। আমি চাইব সামনের দুই ম্যাচেও মেসি যেন আমাদের বিপক্ষে আগের মতো নিষ্প্রভই থাকে।’

ভালভার্দের সেরা ছাত্র মেসি গোলের সামনে বেশ কবারই বল পেয়েছেন। সেগুলোর কোনোটিই কাজে লাগাতে পারেননি এই ফুটবল জাদুকর। না নিজে গোল করতে পেরেছেন, না করাতে পেরেছেন। ফলাফল—‘মেসি কিছু না করতে পারলে বার্সেলোনা জেতে না!’ এই কয়েক দিনে বার্সেলোনার জন্য যে কথাটি রটেছে তা সত্যি-ই হলো। বার্সেলোনা শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই মাঠ ছেড়েছে।

প্রথমার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা বার্সেলোনা বেশ কিছু ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টো টের স্ট্যাগানকে দুবার কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে। পরীক্ষায় পাস না করলে বার্সেলোনার কপালে খারাপই ছিল বৈকি! তৃতীয় মিনিটেই ফ্রি কিক থেকে গোলের সুযোগ পায় অতিথিরা। কিন্তু মেসির ফ্রি কিক গোলপোস্টের ওপর দিয়ে চলে গেলে সুযোগ হাতছাড়া হয়। এরপর ১৭তম মিনিটে জর্ডি আলবার বাড়ানো বল মাত্র ১২ গজ দূর থেকেও জালে জড়াতে পারেননি মেসি।

দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনা অনেকটাই নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। কমে যায় তাদের আক্রমণের ধারও। দ্বিতীয়ার্ধে ১০ মিনিটের মধ্যে দুইবার গোলের সুযোগ তৈরি করে লিওঁ। শেষ ২০ মিনিটে লুইস সুয়ারেজ ও বুসকেটসের দূরপাল্লার শট রুখে দেন লিওঁর গোলরক্ষক।