বাংলাদেশের সামনে কঠিন লক্ষ্য

দিনটি ছিল টেলরের। ছবি: এএফপি
দিনটি ছিল টেলরের। ছবি: এএফপি
>তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ৩৩০ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেছেন রস টেলর। ৬৪ রান করেছেন নিকোলাশ। বাংলাদেশের ইনিংসে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

মিঠুনকে বসিয়ে রুবেলকে একাদশে নিয়েছে বাংলাদেশ। পাঁচ বোলার নিয়েও বেঁধে রাখতে পারেনি কিউইদের। অতিথিদের সামনে ৩৩১ রানের বিশাল টার্গেট ছুড়ে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

বাংলাদেশ আগেই সিরিজ হেরে বসে আছে। আজকের ম্যাচটা জিততে পারলে হয়তো হোয়াইটওয়াশটা এড়াতে পারে। নিউজিল্যান্ডও চাইবে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজটা নিজেদের করে নিতে। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশকে জয়হীন রাখতে। এসবের বাইরেও এই ম্যাচটি নিউজিল্যান্ডের কাছে; নির্দিষ্ট করে বললে রস টেলরের কাছে বিশেষ কিছু, অনেক বড় সুযোগ। নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের মালিক হওয়ার সুযোগ।

রুবেলের বলে মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দী হওয়ার আগে ৬৯ রানের ইনিংস খেলে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন টেলর। তিনিই এখন নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের মালিক। ২৭৯ ম্যাচে ৮ হাজার ৭ রান নিয়ে নিউজিল্যান্ডের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান ছিল সাবেক কিউই অধিনায়কের। ফ্লেমিংয়ের রেকর্ডকে পেছনে ফেলতে টেলরকে দরকার ছিল ৫১ রান। এই ম্যাচের আগে ৩৪ বছর বয়সী এই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের ২১৭ ম্যাচে রান ছিল ৭ হাজার ৯৫৭। আজকের ম্যাচে ৭ চারে ৮২ বলে ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন টেলর।

বাংলাদেশের শুরুটা আশাজাগানিয়াই হয়েছিল। ২১ রানের মাথায় কিউইদের প্রথম আঘাত করেন ক্যাপ্টেন মাশরাফি। পাঁচ নম্বর ওভারে ওপেনার মুনরোকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সিরিজে টানা দুই সেঞ্চুরি করা গাপটিল সাইফউদ্দিনের শিকার বনেন দলীয় ৫৯ রানের মাথায়। দুই উইকেট হারানোর পর নিউজিল্যান্ডের তৃতীয় উইকেট পড়ে ১৫১ রানের মাথায়। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হওয়ার আগে নিকোলাশ করেন ৬৪ রান। এর আগে টেলরের সঙ্গে গড়েন ইনিংসে ৯২ রানের সর্বোচ্চ জুটি। নিকোলাস আউট হলে ল্যাথামকে সঙ্গে নিয়ে ৫৫ রানের জুটি গড়েন টেলর। ৩৯তম ওভারে দলের ২০৬ রানের টেলর ফিরে গেলে নিশামকে সঙ্গে নিয়ে বাকি কাজ সারেন ল্যাথাম। মুস্তাফিজের স্লোয়ারে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ৫১ বলে ৫৯ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন ল্যাথাম। নিশামের সঙ্গে গড়েন ৬৫ রানের জুটি।

এসব ছোট-বড় জুটির ওপর ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সামনে ৩৩১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিকরা। মুস্তাফিজ ২ উইকেট পেলেও ছিলেন বেশ খরুচে, ১০ ওভারে দিয়েছেন ৯৩ রান।