সাহসী বোঝাতেই এমন অশালীন আচরণ?

পুরো ম্যাচ জুড়েই উত্তেজিত ছিলেন সিমিওনে। ছবি: এএফপি
পুরো ম্যাচ জুড়েই উত্তেজিত ছিলেন সিমিওনে। ছবি: এএফপি

ফুটবল নিয়ে ভীষণ আবেগ, তাই ডিয়েগো সিমিওনে একটু খ্যাপাটে। ফুটবলপ্রেমী মাত্রই এটা জানেন।এ জন্য অনেকবারই সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছেন। কাল চ্যাম্পিয়নস লিগেও তার ছিটেফোঁটা নিদর্শন দেখিয়েছেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের এই কোচ। সে এমনই নিদর্শন যে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোদের হার ছাপিয়ে আলোচনায় সিমিওনের পৌরুষ!

চ্যাম্পিয়নস লিগ শেষ ষোলোর প্রথম লেগে কাল অ্যাটলেটিকো মাঠে ২-০ গোলে হেরেছে জুভেন্টাস। স্প্যানিশ ক্লাবটির হয়ে ৭৮ মিনিটে প্রথম গোল করেন রাউল হিমিনেজ। এর কিছুক্ষণ আগেই অবশ্য আলভারো মোরাতার গোল বাতিল হয়ে যায় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) কল্যাণে। সিমিওনে সম্ভবত তখন থেকেই বেশ চটে ছিলেন। হিমিনেজ দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর আর্জেন্টাইন এ কোচ নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। গ্যালারিসহ টিভি দর্শকদের অবাক করে সিমিওনে নিজের অণ্ডকোষ চেপে গ্যালারির দিকে ইঙ্গিত দিলেন!

ব্যস, আর যায় কোথায়। মুহূর্তের মধ্যে সমালোচনা ছড়িয়ে পড়ল চারদিকে। ম্যাচ চলাকালীন সময়েই ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। জয়ের পর তাই অশ্লীল এবং কিছুটা অদ্ভুতুড়ে সেই উদ্‌যাপনের ব্যাখ্যা দিতে হলো অ্যাটলেটিকো কোচকে। সিমিওনে স্বীকার করে নেন, আচরণটি মোটেও শোভন ছিল না। কিন্তু এটি করার দরকার ছিল।

অ্যাটলেটিকোর এই আর্জেন্টাইন কোচ বলেন, ‘মানছি আচরণটি শোভন ছিল না। কিন্তু মনে হয়েছে এটা করা দরকার। কঠিন একটা ম্যাচ ছিল এটা। আমরা প্রচণ্ড লড়াই করেছি , ডিয়েগো কস্তা পূর্ণ সুস্থ না হয়েও কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমার যা মনে হয়েছে সেটাই দেখিয়েছি। যদি কারও এটা আপত্তিকর মনে হয় তবে দুঃখিত কিন্তু এটা আমি মন থেকে করেছি।’

মন থেকে করলেও এই অশালীন আচরণের অর্থ কী সেটা জিজ্ঞেস করা হয়েছিল সিমিওনেকে। খেলোয়াড় হিসেবেও একই কাণ্ড করা সিমিওনে বলছেন এটা দলের সাহস ও পৌরুষ প্রকাশ করেছে, ‘এর মানে আমাদের সাহস আছে। কস্তা ও কোকে অনেক দিন অনুপস্থিত থাকার পরও আজ একাদশে ছিল, এটা করতে সাহস লাগে। আমি লাৎসিও-বোলোনিয়াতে খেলোয়াড় হিসেবে এটা করেছি এবং আজ এটা করেছি আমার দর্শকের দিকে তাকিয়েই, কারণ দেখাতে চেয়েছি আমরা সাহসী। এটা অন্য দলের দিকে ইঙ্গিত ছিল না, আমাদের সমর্থকদের দিকেই দেখিয়েছি।’