ইতিহাস গড়তে শ্রীলঙ্কার দরকার ১৩৭
>ইতিহাস ডাকছে শ্রীলঙ্কাকে। পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টে জিততে হলে লঙ্কানদের আর করতে হবে ১৩৭ রান, হাতে ৮ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার সামনে ইতিহাস গড়ার সুযোগ। সেই ইতিহাস এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জয়ের। শুধু সিরিজ জয়? দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে প্রথমবারের মতো প্রোটিয়াদের ধবলধোলাই করার সুযোগও লঙ্কানদের সামনে। ইতিহাস গড়তে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে আর করতে হবে ১৩৭ রান।
দেশের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সবশেষ ধবলধোলাই হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে, ২০০৬ সালে। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার পর গত তিন দশকে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারাতে পেরেছে মাত্র দুটি দল—অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড। দুর্লভ এ তালিকায় নাম লেখাতে পারবে শ্রীলঙ্কা?
পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টের প্রথম তিন ইনিংসের ধারা মানলে লঙ্কানদের কাজটা সহজ হওয়ার কথা নয়। বোলারদের দাপটে ব্যাটসম্যানদের যে ওষ্ঠাগত প্রাণ। প্রথম তিন ইনিংসের স্কোর দেখুন—২২২, ১৫৪, ১২৮। রানটা ধারা মেনেই কমেছে। আজ পড়েছে মোট ১৯ উইকেট। তবে শ্রীলঙ্কানরা চেষ্টা করছে চতুর্থ ইনিংসে ধারাটা ভাঙতে। দ্বিতীয় দিন তারা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৬০ রান তুলে।
১৯৭ নয়, শ্রীলঙ্কা সিরিজ জিততে পেতে পারত ১৮৬ রানের লক্ষ্য। সেটা হয়নি ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার ওভার স্টেপিংয়ের কারণে। ফাফ ডু প্লেসিকে উইকেটকিপারের ক্যাচ বানিয়েছিলেন এই অফ স্পিনার। টেলিভিশন রিপ্লে দেখেই প্রোটিয়া অধিনায়ককে ফেরান আম্পায়াররা। দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ৯ উইকেটে ১১৭। ৪৫ রানে দাঁড়ানো ডু প্লেসি আর আউটই হলেন না। তাঁকে ৫০ রানে রেখে অন্য পাশে আউট দলটির শেষ ব্যাটসম্যান ডুয়ান অলিভিয়ের।
দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ১২৮ রানের ঠিক ১০০-ই তিন ব্যাটসম্যান ডু প্লেসি (৫০*), হাশিম আমলা (৩২) ও এইডেন মার্করামের (১৮)। আর কেউ দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি। সিরিজের প্রথম তিন ইনিংসে কনিষ্ঠ দুই পেস বোলিং সতীর্থ বিশ্ব ফার্নান্দো ও কাসুন রাজিতার ছায়া হয়ে থাকা সুরঙ্গা লাকমলই আজ শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার। ৩৯ রানে ৪ উইকেট লঙ্কান পেসারের।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চের আগেই ১৫৪ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কানরা দিন শুরু করেছিল ৩ উইকেটে ৬০ রান নিয়ে। শ্রীলঙ্কা অবশ্য ব্যাট করেছে একজন কম নিয়ে। কাল নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিংয়ে বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ভেঙে ফেলা লাসিথ অ্যাম্বুলদেনিয়া ব্যাট করতে পারেননি। বাঁহাতি স্পিনার ছয় সপ্তাহের জন্য ছিটকে গেছেন ক্রিকেট থেকে।