দুর্দান্ত মেসির হ্যাটট্রিকে বার্সেলোনার জয়

এখানে ডেমবেলের কাঁধে চড়লেও, মেসির কাঁধে চড়েই আজ পার হলো বার্সেলোনা। ছবি: এএফপি
এখানে ডেমবেলের কাঁধে চড়লেও, মেসির কাঁধে চড়েই আজ পার হলো বার্সেলোনা। ছবি: এএফপি

২২ মিনিটেই অপরাধী বনে গিয়েছিলেন লিওনেল মেসি। ম্যাচ যত গড়িয়েছে, ততই নিজের দায় মিটিয়েছেন। ম্যাচ শেষ হতে দেখা গেল, দায় মেটাতে মেটাতেই সেভিয়ার মাঠ থেকে দলকে জিতিয়েছেন তো বটেই, হ্যাটট্রিকও করে ফেলেছেন। মেসির দুর্দান্ত নৈপুণ্যে সেভিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা।

২২ মিনিটে সেভিয়া ডি-বক্সের সামনে অযথা বল নিয়ে সময় নষ্ট করছিলেন মেসি। অনেকটা সময় নিয়ে যে পাস দিতে গেলেন, সেটাই গেল প্রতিপক্ষের পায়ে। সেখান থেকে প্রতি–আক্রমণে উঠল সেভিয়া। বেন ইয়েডার বল নিয়ে বক্সের সামনে এসে বল দিলেন হেসুস নাভাসকে। ডান প্রান্ত থেকে দূরের পোস্টে শট, এগিয়ে গেল সেভিয়া। ক্যামেরা তখন বারবার খুঁজে নিচ্ছিল অপরাধী মেসিকে। মেসি সে দায় মেটালেন ৪ মিনিট পর। বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস করেছিলেন রাকিতিচ। সেটা এল বক্সে অনেকটাই ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা মেসির কাছে। মেসিকে অতটা জায়গা ছেড়ে দেওয়ার শাস্তি পেল স্বাগতিক দল। দুর্দান্ত এক ভলিতে ম্যাচে সমতা আনলেন বার্সেলোনা অধিনায়ক।

ম্যাচের ৪২ মিনিটের গোলেও অপরাধী ছিলেন একজন। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের পায়ে দিয়ে দিয়েছিলেন মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন। সেটা ডান প্রান্তে নিয়ে গেলেন পাবলো সারাবিয়া। সেখান থেকে তাঁর ক্রস খুঁজে নিল ৬ মিটার বক্সের বাইরে থাকা মারকাদোকে। আবারও ডান প্রান্ত থেকে দূরের পোস্টের শট স্টেগেনকে হার মানাল।

প্রথম গোলটি মেসির দায় থাকায় সেটা মেসিই পূরণ করেছেন, কিন্তু পরের গোল তো হলো টের স্টেগেনের কারণে। এটা শোধ দেবেন কে? এবার এগিয়ে এলেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক ভ্যাসিলিচ। ৬৭ মিনিটে প্রায় একই ভঙ্গিতে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল তুলে দিলেন রাকিতিচের পায়ে। সেখান থেকে ডান প্রান্তে ওউসমানে ডেমবেলে ক্রস পাঠালেন মেসির কাছে। আবারও মেসিকে ফাঁকায় রেখে গেল সেভিয়া রক্ষণ। এবার ডান প্রান্তের শট পোস্ট ঘেঁষে জালে।

৮৫ মিনিটে মেসির হ্যাটট্রিকের গোলে দায় ঠিক কারও ছিল না। দ্বিতীয় গোল খেয়ে খেই হারিয়ে ফেলা সেভিয়া রক্ষণ এবারও গোল খেয়েছে ডান প্রান্তের দোষে। সার্জি রবার্তোর কাছ থেকে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন কার্লোস এলেনা। সে শট ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে এল মেসির সামনে। ছোট বক্সের সামনে থেকে চিপ করতে একদমই অসুবিধা হয়নি মেসির।

৯৩ মিনিটে দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া বন্ধু লুইস সুয়ারেজকেও উদ্ধার করলেন মেসি। এলেনার পাস পেয়ে দারুণ এক লব থ্রু করেছিলেন মেসি। আগে থেকেই বুঝতে পেরে সেভিয়া রক্ষণের ফাঁক গলে বেরিয়ে গিয়েছেন সুয়ারেজ। ভ্যাসিলিচকে এগিয়ে আসতে দেখে আলতো চিপ করে বার্সেলোনার জয় নিশ্চিত করেছেন সুয়ারেজ।