শেষ বলে হেরে গেল ভারত

দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ছবি: এএফপি
দলের জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। ছবি: এএফপি

চাপের মুখে ম্যাচ জেতার ফর্মুলা তাহলে এই? দলের মূল ব্যাটসম্যানরা যেখানে চাপে চিড়ে চ্যাপ্টা হয়ে সব ড্রেসিং রুমে আশ্রয় খুঁজে নিচ্ছিল, সেখানে দুই বোলার মিলে চাপ জয় করলেন অনায়াস। প্যাট কামিন্স ও ঝাই রিচার্ডসন অবিশ্বাস্যভাবে রুদ্ধশ্বাস এক জয় এনে দিলেন অস্ট্রেলিয়াকে। শেষ বলের রোমাঞ্চে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।

শেষ ওভারে যখন উমেশ যাদবের হাতে বল তুলে দেওয়া হলো, পরিষ্কার এগিয়ে ছিল ভারত। একে তো ৬ বলে ১৪ রানের কঠিন সমীকরণ তার ওপর উইকেটে থাকা দুই ব্যাটসম্যানের নামের পাশেই শূন্য। রান তো রান, তাদের নামের পাশে বলের সংখ্যাও তাই। উইকেটে নতুন দুই ব্যাটসম্যান আদতে যারা আসলে ফাস্ট বোলার, তারা এ ম্যাচ বের করবে সেটা আশা করা কঠিন। কিন্তু সেটাই হলো। ওভার শেষে দুজনের নামের পাশেই ৩টি করে বল। আর প্রয়োজনীয় ১৪টি রানও ঠিক দুভাগ করে তুলেছেন দুজন!

প্রথম বলে এক রানের পর দ্বিতীয় বলে চার মারলেন রিচার্ডসন। তৃতীয় বলে ভারতীয় ফিল্ডারদের হতবুদ্ধ করে শুধু ব্যাটে বল ছুঁইয়েই দুই রান। পরের বলে প্রান্ত বদল। দলকে টানার দায়িত্ব এখন কামিন্সের। ফুলটসটা কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠাতে ভুল হলো না তাঁর। পরের বলটা লং অনে পাঠিয়েই ছুট আর ছুট। সে দৌড় যখন থামল ততক্ষণে দুবার প্রান্ত বদল হয়ে গেছে। শেষ বলের নাটকে হেরে গেছে উড়তে থাকা ভারত।

অথচ ১৯তম ওভারেই ম্যাচটা ভারতের দিকে ঝুঁকিয়ে দিয়েছিলেন জসপ্রীত বুমরা। প্রথম ৪ বলে মাত্র ২ রান দিয়েছেন, শেষ ২ বলে ২ উইকেট। ১২ বলে ১৬ রান তাই শেষ ওভারে ১৪ রানে রূপ নিল। তখন কে বলবে, এই সমীকরণটাই এক সময় ছিল ৩০ বলে ২৯!

১২৭ রানের লক্ষ্যে মার্কাস টয়নিস ও অ্যারন ফিঞ্চ দলকে মাত্র ৫ রানে রেখে গিয়েছিলেন। তবু অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পথে এগোতে কোনো সমস্যা হয়নি। ডি আর্চি শর্টকে সঙ্গী করে প্রতি আক্রমণে গেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সহজ জয়ের আশাই দেখাচ্ছিলেন ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু দলের ৮৯ রানে ম্যাক্সওয়েল আউট হওয়ার পরই বিপাকে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। ৪৩ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ করা ম্যাক্সওয়েলের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান শর্টের। সেই শর্ট ১৬তম ওভারে রান আউট হয়েই নাটকটা এভাবে জমিয়ে দিলেন।

কামিন্স ও রিচার্ডসনের নাটকের বিয়োগান্ত অংশে থাকতে ইচ্ছে হলো না বলেই বেঁচে গেল অস্ট্রেলিয়া।