দুর্লভ রেকর্ডটা দুই মাসে দুবার করলেন বাংলাদেশের বোলাররা!

বল হাতে আজ ঝড় তুলেছেন মানিক খান।
বল হাতে আজ ঝড় তুলেছেন মানিক খান।
>টি-টোয়েন্টি এমনিতেই চার-ছক্কার খেলা। এই সংস্করণে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করা দুর্লভ ঘটনা বটেই। অথচ এই কঠিন কাজটা দুই মাসে দুবার করে দেখালেন বাংলাদেশের বোলাররা।

টি-টোয়েন্টি অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেছেন কে কে? কদিন আগেও এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া কঠিনই ছিল। গত মাসে বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের আলিস আল ইসলাম দেখালেন টি-টোয়েন্টি অভিষেকে কীভাবে হ্যাটট্রিক করতে হয়!

আলিসের রেকর্ডের দুই মাস না যেতেই বাংলাদেশের আরেক বোলার নাম তুলে ফেললেন রেকর্ডের এই অধ্যায়ে। আজ ফতুল্লায় ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেছেন মানিক খান। বিকেএসপির বিপক্ষে প্রাইম দোলেশ্বরের এই পেসার প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেটের পর নিজের পরের ওভারের প্রথম বলেই উইকেট নিয়ে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক।

গত বছর দোলেশ্বরের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলা মানিকের অভিজ্ঞতা বলতে মাত্র ৪টি লিস্ট 'এ' ম্যাচ খেলা। এবারও তাঁকে ধরে রেখেছে বুড়িগঙ্গা পারের ক্লাবটি। আজ ডিপিএল টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নেমেই করলেন রেকর্ড। ম্যাচে পেলেন ১২ রানে ৪ উইকেট। এ নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের চার বোলার হ্যাটট্রিক করলেন। চারটির দুটিই আবার আল আমিনের। টি-টোয়েন্টি অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করা যেখানে দুর্লভ ঘটনা, গত দুই মাসে সেটিই 'নিয়মিত' বানিয়ে ফেলেছেন বাংলাদেশের বোলাররা!

মানিকের অভিষেক হ্যাটট্রিকের দিনে ফতুল্লা দেখেছে শ্বাসরুদ্ধকর দুর্দান্ত এক ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দোলেশ্বর ৯ উইকেটে করে ১১১ রান। মানিকের হ্যাটট্রিকে স্কোর ৩/৩ হয়ে যাওয়ার পরও বিকেএসপি ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে করে ঠিক ১১১। ম্যাচ টাই! বিকেএসপির শামিম হোসেন করেন ৪৫, আকবার আলীর রান ৪২।

ম্যাচ চলে যায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে বিকেএসপি তুলতে পারে ৬ রান। এক ওভারে ৭ রানের লক্ষ্যটাই পেরোতে পারেনি দোলেশ্বর, করতে পেরেছে ৪ রান। বিকেএসপি জিতে যায় ২ রানে! বৃথাই গেছে মানিকের অসাধারণ রেকর্ডটি! সান্ত্বনা হিসেবে অবশ্য ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে তাঁর হাতে।