কোহলি ঝড়েও ভারত দুই শ পেল না

বিরাট কোহলি। আজ দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন। ছবি: টুইটার
বিরাট কোহলি। আজ দুর্দান্ত ব্যাট করেছেন। ছবি: টুইটার
>বেঙ্গালুরুতে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৯০ রান তুলেছে ভারত। ৩৮ বলে ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন কোহলি

হারলেই সিরিজ জিতে নেবে অস্ট্রেলিয়া। এই সমীকরণ নিয়েই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রোহিত শর্মাকে বসিয়ে রাখার জুয়া খেলেছে ভারত। প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশার প্রতিদান দিতে পারেননি ভারতের ‘হিটম্যান’। তাঁর বদলে দ্বিতীয় ম্যাচে দলে ঢোকা শিখর ধাওয়ান-ই বা প্রত্যাশা মেটাতে পারলেন কোথায়? বরং দশম ওভারে ধাওয়ান যখন ফিরলেন ভারতের স্কোর ২ উইকেটে ৭০। প্রত্যাশামাফিক রান ওঠেনি। এর পেছনে ধাওয়ানের ২৪ বলে ১৪ রানের অবদান কম নয়!

শেষ পর্যন্ত ভারতের লড়াকু স্কোরের প্রত্যাশা পূরণ করেছেন বিরাট কোহলি ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। ১১তম ওভারের শেষ বলে জুটি বাঁধেন বর্তমান ও সাবেক দুই অধিনায়ক। ৩ উইকেটে ৭৪ রান নিয়ে ভারত তখন প্রথম ম্যাচের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর শঙ্কায়। প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে মাত্র ১২৬ রান তুলেছিল স্বাগতিকদের তারকাবহুল ব্যাটিং অর্ডার। আজ বেঙ্গালুরুতে তার চেয়ে আরও ৬৪ রান বেশি তুলেছে কোহলির দল (৪ উইকেটে ১৯০)। আর এতে কোহলির অবদান ৩৮ বলে ৭২। ধোনি ২৩ বলে ৪০ রান করেন। ৫০ বলে দুজনের ১০০ রানের জুটিতে সিরিজ বাঁচানোর আশা জাগানিয়া সংগ্রহ পেয়েছে ভারত।

১৫ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ১১৩। এখান থেকে শেষ ৩০ বলে ৭৭ রান তুলেছে ভারত। ১৭তম ওভারে কুল্টার-নাইলকে একাই তিন ছক্কা মারেন কোহলি। ধোনি অন্য প্রান্তে খেলেছেন নিজের ছন্দ মেনে। প্রথম ম্যাচে মন্থর ব্যাটিংয়ের (৩৭ বলে ২৯) জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধোনির অবসর কামনা করে হাজারো পোস্ট করেছেন স্বয়ং ভারতেরই ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু চিন্মাস্বামীতে সেই ধোনি-ই বুঝিয়ে দিলেন, ৩৭ বছর বয়সেও দলকে দেওয়ার মতো অনেক কিছুই আছে ধোনির।

কোহলি-ধোনি দুজনেই আজ দুজনেই ছুঁয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৫০তম ছক্কার মাইলফলক। ডি আর্চি শর্টকে ছক্কা মেরে চতুর্থ ভারতীয় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০তম ছক্কা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ৩৫০ম ছক্কার মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন ধোনি। এরপর কুল্টার-নাইলকে মারা তিন ছক্কার পথে পঞ্চম ভারতীয় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৫০তম ছক্কার দেখা পান কোহলি।

১৭তম ওভারে ধোনি-কোহলিকে মাত্র ৩ রান দিয়ে আটকে রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার লেগি অ্যাডাম জাম্পা। পরের ওভারে অবশ্য ডি আর্চি শর্টের কাছ থেকে ১৮ রান তুলে ঘাটতিটুকু পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন ভারতের এ দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। চার-ছক্কা এসেছে পরের ওভারেও। রিচার্ডসনের করা এই ওভার থেকে ১৯ রান তুলে নেন ধোনি-কোহলি। প্যাট কামিন্সের করা শেষ ওভারে ফিরে যান ধোনি। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ইনিংসটি সাজান তিনি। কোহলি টিকে ছিলেন শেষ পর্যন্ত। কামিন্সকে ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে দারুণ সমাপ্তিও টেনেছেন ভারতীয় অধিনায়ক।

৬ ছক্কা ও ২ চারে সাজানো ইনিংসটি দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ষষ্ঠ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেললেন কোহলি। এই সংস্করণে কোনো দলের বিপক্ষে এটি সর্বোচ্চসংখ্যক পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। এর আগে রেকর্ডটি ছিল শ্রীলঙ্কার কুশল পেরেরার দখলে। বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচবার পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন পেরেরা।